লোকসভা: অসম, ত্রিপুরার ছয় আসনে ভোট মিটল শান্তিতেই
সোমবার সকাল সাতটা থেকে অসমের পাঁচটি এবং ত্রিপুরার একটি লোকসভা আসনে ভোট নেওয়া আরম্ভ হয়। অশান্তি ঠেকাতে নজিরবিহীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় ভোটকেন্দ্রগুলিতে।
অসমের যে পাঁচটি আসনে ভোট নেওয়া হয়েছে, সেইগুলি হল লখিমপুর, তেজপুর, কালিয়াবোর, জোরহাট এবং ডিব্রুগড়। এ ছাড়া ত্রিপুরা পশ্চিম আসনে ভোট নেওয়া হয়েছে। শুধু অসমেই রয়েছে ১২২১টি ভোটকেন্দ্র। দুই রাজ্যের ছয়টি আসনে ৭৬ লক্ষের কিছু বেশি ভোটার এদিন তাঁদের মতাধিকার প্রয়োগ করেন।
প্রসঙ্গত, অসমের জোরহাটের একটি বুথে জরুরি ভিত্তিতে ইঞ্জিনিয়ারদের পাঠায় নির্বাচন কমিশন। কারণ সেখানে পরীক্ষামূলকভাবে ইভিএম চালিয়ে গতকাল দেখা গিয়েছিল, সফটঅয়্যারে গণ্ডগোল রয়েছে। যে বোতামই টেপা হোক না কেন, ভোট পাচ্ছেন নির্দিষ্ট একজন প্রার্থী। এ ছাড়া, কয়েকটি জায়গায় ত্রুটিবিচ্যুতির কারণে ইভিএম বদলে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
অসমে এবার লোকসভা ভোটে প্রথমবার প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটের লড়াইয়ে কংগ্রেস, বিজেপি এবং অসম গণ পরিষদ ছাড়াও রয়েছে আরও কিছু ছোটো দল। মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের ছেলে গৌরব গগৈ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পবন সিং ঘাটোয়ার প্রমুখ হলেন ওজনদার প্রার্থী। অসমে মোট লোকসভা আসন হল ১৪টি। ১২ এপ্রিল আরও তিনটি আসনে এবং ২৪ এপ্রিল বাকি ছয়টি আসনে ভোট নেওয়া হবে।
ত্রিপুরায় সিপিএম এবং কংগ্রেস হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করছে। ত্রিপুরায় লোকসভা আসন দু'টি। বাকি একটি আসন, ত্রিপুরা পূর্বে আগামী ১২ এপ্রিল ভোট নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ত্রিপুরা পশ্চিম কেন্দ্র থেকে ২৪৮,৫৪৯ ভোটে জিতেছিলেন সিপিএমের খগেন দাশ। তিনি কংগ্রেসের সুদীপ রায়বর্মণকে হারিয়েছিলেন। ১৯৫২ সাল থেকে এই আসনে ১১ বার জিতেছে বামপন্থীরা! তবে এবার এই আসনে খগেনবাবুকে টিকিট দেয়নি সিপিএম। তাঁর জায়গায় টিকিট পেয়েছেন সিটু নেতা শঙ্করপ্রসাদ দত্ত। কংগ্রেসের অরুণোদয় সাহা হলেন তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী। এই আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী রতন চক্রবর্তী।
ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও) আশুতোষ জিন্দল জানান, বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিরা এসে নাশকতা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। তাই আন্তর্জাতিক সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে। বিএসএফ ছাড়া সীমান্তে নজর রাখছে রাজ্য পুলিশ।
এবারের লোকসভা ভোট ভারতের রাজনীতিক ইতিহাসে দীর্ঘতম। দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ দফার ভোট যথাক্রমে ৯ এপ্রিল, ১০ এপ্রিল এবং ১২ এপ্রিল। পরবর্তী পর্যায়গুলি হল যথাক্রমে ১৭ এপ্রিল, ২৪ এপ্রিল, ৩০ এপ্রিল, ৭ মে এবং ১২ মে। ভোটগণনা ১৬ মে।