পাঁচ বছর বিমানে উঠবেন না, যেভাবে ইতিহাসে নাম তুললেন মুম্বইয়ের এই রত্ন ব্যবসায়ী
ভারতের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে 'নো ফ্লাই লিস্ট'(এনএফএল)-এ নাম উঠলো মুম্বইয়ের জনৈক রত্ন ব্যবসায়ী বিরজু কিশোর সাল্লার। গত নভেম্বরে জেট এয়ারওয়েজের বিমানে তিনি ভুয়ো হাইজ্যাকের হুমকি দিয়েছিলেন।
ইতিহাসে নাম উঠল মুম্বইয়ের জনৈক রত্ন ব্যবসায়ী বিরজু কিশোর সাল্লার। না, কোনও ভাল কাজের জন্য নয়। বিরজু কিশোরই হলেন ভারতের প্রথম ব্যক্তি, যার নাম উঠল 'নো ফ্লাই লিস্ট'(এনএফএল)-এ। আগমী পাঁচ বছর তিনি জেট এয়ারওয়েজের কোনও বিমানে যাতায়াত করতে পারবেন না। অন্য সংস্থাগুলিও চাইলে তার ডানা ছাটতে পারে। গত বছর অক্টোবরে বিমানে বিশৃঙ্খল যাত্রীদের জন্য নথিভুক্ত করতে এই 'নো ফ্লাই লিস্ট' চালু করা হয়।
কি করেছিলেন বিরজু? ২০১৭ সালের ৩০-এ অক্টোবর তিনি জেট এয়ারওয়েজ সংস্থার একচি উড়ানে মুম্বই থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন। উড়ানের বিজনেস ক্লাসের বাথরুমে তিনি মজা করেই ওই প্লেন হাইজ্যাক করা হয়েছে বলে একটি বার্তা লিখে রেখেছিলেন। তাঁর কাছে বিষয়টি মজার হলেও, এর জেরে বিমানটিকে ঘুরিয়ে আহমেদাবাদে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তদন্তে জানা যায় হাইজ্যাকের কোনও গল্প ছিল না। বিরজুর প্র্যাকটিকাল জোক ধরা পড়ে যায়।
অসামরিক বিমান পরিষেবা দপ্তর (ডিজিসিএ) -এর এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, 'এই প্রথম কোনও ভআরতীয় বিমান সংস্থা কোন ব্যক্তিকে এনএফএল-এ অন্তর্ভুক্ত করলো। জেট এয়ারওয়েজ আমাদের জানিয়েছে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই ওই ব্যক্তিকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে তারা। ২০১৭-র নভেম্বর মাস থেকেই এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হিসেবে ধরা হবে। এবার ওই সংস্থারই দায়িত্ব অন্যান্য বিমান সংস্থাগুলিকে এবিষয়ে অবগত করা। তারপর তাকে অন্যরা বিমানে উঠতে দেবে কিনা সেটা ওই সংস্থাগুলির এপর নির্ভর করছে। তবে আমাদের কাছে এমন ব্যক্তিদের তথ্যভান্ডার থাকছে।'
জেট এয়ারওয়েজ এব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও সিভিল অ্যাভিয়েশন অথোরিটির সূত্রে জানা গিয়েছে সাল্লাকে বিমানে বিশৃঙ্কলতা সৃষ্টির অপরাধে সর্বোচ্চ (লেভেল থ্রি) অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সাধারণত উড়ানের অপারেটিং সিস্টেমমের শ্ক্ষতি করা, গুরুতর শারীরিক সংঘাত, বা ককপিটে ঢুকে পড়া বা ঢোকার চেষ্টার মতো অপরাধে, যাতে বিমানযাত্রীদের প্রাণহানির আশঙ্কা তৈরি হয় - এসব অপরাধকেই লেভেল থ্রি অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এতে সাজা হিসেবে পাঁচ বছর থেকে আজীবনের জন্য বিমান যাত্রায় ছেদ পড়তে পারে। সাল্লাকে আপাতত পাঁচ বছরের জন্যই শাস্তি দেওয়া হয়েছে।