জিন্না দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হলে ভারত ভাগ হত না, পাক-জনকের প্রশস্তি সপা-র সহযোগী দলের
জিন্না দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হলে ভারত ভাগ হত না, পাক-জনকের প্রশস্তি সপা-র সহযোগী দলের
২০২২ বিধানসভা ভোট যত সামনে আসছে ধর্মীয় মেরুকরণের ভোট টানতে গিয়ে নানারকম বক্তব্য সামনে রাখছেন নেতারা! সম্প্রতি সুহেলদেব ভারতীয় সমাজবাদী পার্টির নেতা ওপি রাজভড় মহম্মদ আলি জিন্নার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন৷ আর শুধু পঞ্চমুখই নয়, সোজাসুজি বলে দিলেন জিন্নার হাতে ক্ষমতা থাকলে দেশ ভাগ হত না।এ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে উত্তরপ্রদেশে৷
বেশিদিন আগের ঘটনা নয়, উত্তরপ্রদেশে ভোট প্রচারে বেরিয়ে ভারতভাগের মূলচক্রী মহম্মদ আলি জিন্নাহর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী এবং লৌহমানব সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের সঙ্গে তুলনাও করেছিলেন তাঁর। উত্তরপ্রদেশে ভোটের আবহে এবার ফের উচ্চারিত হল জিন্নাহর নাম। এবার সুহেলদেব ভারতীয় সমাজবাদী পার্টির সভাপতি ওপি রাজভড় মন্তব্য করলেন জিন্নাহকে নিয়ে।
রাজভড়ের কথায়, 'মহম্মদ আলি জিন্নাহ যদি স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হতেন। তাহলে ভারত ভাগ হতই না।' সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি আরও বলেন, ' আপনি অটল বিহারি বাজপেয়ীর দর্শন পড়ুন, লালকৃষ্ণ আদবানীর লেখা পড়ুন। দেশের অন্যান্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের লেখায় চোখ রাখুন। ঠিক কোন কারণে মহম্মদ আলি জিন্নাহের এত প্রশংসা করতেন তাঁরা?'
এমনিতেই পাকিস্তানের জনক মহম্মদ আলি জিন্নাহকে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। ঐতিহাসিকরাও তাঁর ভূমিকা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত। কেউ তাঁকে স্বাধীনতার কারিগর বলেন, কেউ আবার বলেন তিনিই ভারতভাগের মূলচক্রী। তবে বাস্তব যাই হোক না কেন, আসন্ন উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের আগে যথারীতি প্রাসঙ্গিক তিনি। এর আগে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব বলেছিলেন, ' মহাত্মা গান্ধী, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, জওহরলাল নেহেরু এবং মহম্মদ আলি জিন্নাহ একই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছিলেন। তাঁরা ব্যারিস্টার হয়েছেন এবং দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়েছেন।' আরএসএস প্রসঙ্গে অখিলেশ বলেন, লৌহ মানব সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলই প্রথম একটি আদর্শে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেন।'
প্রসঙ্গত, এবারের বিদানসভা ভোটের প্রস্তুতির জন্য প্রথম থেকেই রাজ্যের ছোটছোট স্থানীয় দলগুলির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন অখিলেশ যাদব৷ যেগীকে হারাতে কংগ্রেস মায়াবতী অন্য কোনও বড় শক্তিতে ভরসা রাখেননি সপার সুপ্রিমো। এবং তাঁর এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন মায়াবতী৷ এই ইস্যুতে অখিলেশকে স্বার্থপর বলতেও ছাড়েননি বসপা নেত্রী। স্থানীয় দল হিসেবেই সুহেলদেব ভারতীয় সমাজবাদীপার্টির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন অখিলেশ।