সুরাতের কোচিং সেন্টারে বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে মৃত অন্তত ২০ পড়ুয়া
কেন্দ্রে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরের দিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিজের গড় গুজরাতের সুরাতের এক কোচিং সেন্টারে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২০ জন পড়ুয়ার মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের মুহূর্তে প্রাণে বাঁচতে ওই কোচিং সেন্টারের তৃতীয় ও চতুর্থ তল থেকে পড়ুয়াদের মরিয়া ঝাঁপের ভিডিও দেখে আঁতকে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া।

ঘটনায় তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করার পাশাপাশি টুইটারে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অগ্নিকাণ্ডে গুরুতর আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন মোদী। ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সব রকম সাহায্যের জন্য গুজরাত সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনকে এগিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
মর্মান্তিক এই অগ্নিকাণ্ডের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। ঘটনায় মৃত পড়ুয়াদের পরিবারের জন্য ৪ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণও ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
সুরাতের তক্ষশীলা কমপ্লেক্সের বহুতলের তৃতীয় ও চতুর্থ তলে শুক্রবার বিকেলে অন্যান্য দিনের মতোই কোচিং ক্লাস চলছিল। আচমকাই সেখানে আগুন ধরে যায় এবং গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে অগ্নিদগ্ধ ওই বহতল থেকে পড়ুয়াদের উদ্ধারে নেমে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ২০টি ইঞ্জিন। আগুনের তীব্রতা এবং তাপে বহুতলের ভিতরে ঢুকে সেখানে আটকে থাকা পড়ুয়াদের উদ্ধার করতে বেগ পেতে হয় দমকল কর্মী ও পুলিশকে।
ফলে বহু পড়ুয়া জীবন্ত দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। কেউ কেউ প্রাণে বাঁচতে ওই বহুতলের তিন ও চার তলা থেকে নিচে ঝাঁপ দেয়। এক সাংবাদিক সেই দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করলে আঁতকে ওঠে গোটা দেশ। শর্ট সার্কিট থেকেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক অনুমান দমকলের। ওই বহুতলে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা যথাযথ ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। ঘটনায় আহত পড়ুয়াদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সন্তানদের হারানোর যন্ত্রণায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অভিভাবকরা।