আলিগড়ে হিংসা ছড়ানোর দায়ে কাফিল খানের বিরুদ্ধে এফআইআর
আলিগড়ে হিংসা ছড়ানোর দায়ে গোরক্ষপুরের চিকিৎসক কাফিল খানের বিরুদ্ধে এফআইআর করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। উক্ত এফআইআর-এ লেখা, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শনে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করেন কাফিল খান।
আলিগড়ে হিংসা ছড়ানোর দায়ে গোরক্ষপুরের চিকিৎসক কাফিল খানের বিরুদ্ধে এফআইআর করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। উক্ত এফআইআর-এ লেখা, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শনে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করেন কাফিল খান। পাশাপাশি নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করারও চেষ্টা করেছেন তিনি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কাফিল খানের বিরুদ্ধে ১৫৩-এ ধারায় মামলায় রজু করা হয়েছে।
আলিগড় কাণ্ড
জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার প্রতিবাদের রেশ আছড়ে পড়ে আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটিতে। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুরু হয় প্রতিবাদ৷ পরিস্থিতি বেগতাক দেখে ছআত্রদের লক্ষ্য করে পুলিশের লাঠি চার্জ করে। টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ায় পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়৷ এরপরই পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙতে শুরু করেন পড়ুয়ারা৷ ক্যাম্পাসের প্রতিটি গেট আটকায় পুলিশ৷ পরিস্থিতি সামলাতে ফের লাঠিচার্জ করে পুলিশ৷ কাঁদানে গ্যাসের শেলও ছোড়া হয়।
২০১৭ সালে শিরোনামে
কাফিল আহমেদ খান বিআরডি মেডিকেল কলেজের শিশু বিশেষজ্ঞ হিসাবে ২০১৭ সালে কাজ শুরু করেন। এরপরেই সেই বছরের ১০ থেকে ১১ অগাস্টের মধ্যে ওই হাসপাতালে ৬৩ জন শিশু মারা যায়। সেই সময় অভিযোগ ওঠে যে হাসপাতালের শিশুদের ওয়ার্ডে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ থাকার করার কারণেই ওই শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। কাঠগড়ায় তোলা হয় চিকিৎসক কাফিল খানকে। সেই সময় তিনি দেশব্যপী শিরোনামে পরিণত হন।
পরে অভিযোগ থেকে নিস্তার পান
এই শিশুমৃত্যুর ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ সহ গোটা দেশেই বিক্ষোভ দানা বাঁধে। ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়ে সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নিজ শহরের হাসপাতালে শিশু বিশেষজ্ঞ কাফিল খানকে তাঁর পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। ওই চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্ত করার সময়, উত্তরপ্রদেশ সরকার বলেছিল যে অক্সিজেনের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানার পরেও কাফিল খান তাৎক্ষণিক ভাবে পদক্ষেপ নিতে বা হাসপাতালের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের অক্সিজেন সংক্রান্ত আসন্ন সঙ্কট সম্পর্কে সতর্ক করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। পরে তাঁকে সেই অভিযওগ থেকে নিস্তার দেওয়া হয়।