দেশদ্রোহী কার্যকলাপের জন্য হোয়াটস অ্যাপ–টিকটকের বিরুদ্ধে এফআইআর
দেশদ্রোহী কার্যকলাপের জন্য হোয়াটস অ্যাপ–টিকটকের বিরুদ্ধে এফআইআর
হায়দরাবাদের
সাইবারক্রাইম
পুলিশ
হোয়াটস
অ্যাপ
ও
টিকটকের
মতো
সোশ্যাল
মিডিয়ার
বিরুদ্ধে
ফৌজদারি
মামলা
দায়ের
করল।
কারই
এই
দুই
সোশ্যাল
মিডিয়ায়
হওয়া
পোস্ট
ও
ভিডিও
জাতীয়
অখণ্ডতা
ও
সাম্প্রদায়িক
সম্প্রীতির
ওপর
প্রভাব
ফেলতে
পারে।
হোয়াটস অ্যাপ–টিকটকের বিরুদ্ধে এফআইআর
অনলাইন ফার্মসের পরিচালক কমিটির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও আইটি অ্যাক্ট ২০০০-এ মামলা করা হয়েছে। হায়দরাবাদের সাইবারক্রাইম শাখার পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘দু'দিন আগেই এই দুই সোশ্যাল মিডিয়ার পরিচালক কমিটিকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।' হায়দরাবাদের সাংবাদিক তথা সমাজ কর্মী সিলভেরি শ্রীসাইলাম এ সংক্রান্ত আবেদন করেন নামপল্লীর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। এরপরই ১৮ ফেব্রুয়ারি আদালতের নির্দেশের পর এফআইআর দায়ের করা হয়।
পাকিস্তান এই কাজ করছে, দাবি ওই সমাজকর্মীর
শ্রীসাইলামের আবেদনে অভিযোগ করে বলা হয়েছে যে কিছু দেশ-বিরোধী উপাদান জনগণের মধ্যে ভারত-বিরোধী প্রচার চালানোর জন্য টিকটক এবং হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহার করছে। তিনি আরও বলেন, ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি) নিয়ে পাকিস্তানের কিছু স্বার্থান্বেষী মেসেজ ও ভিডিও পোস্ট করছে সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং তা ভারতে ভাইরাল করছে।' তাঁর এই অভিযোগের সমর্থনে শ্রীসাইলাম হোয়াটস অ্যাপের মেসেজ, টিকটক ও টুইটারের ভিডিও পোস্ট প্রমাণ হিসাবে পেশ করেন এবং তার সঙ্গে যে ফোন নম্বর থেকে ওইগুলো পোস্ট হয়েছে তাও আদালতে জমা দেন। ওই পোস্ট ও ভিডিওগুলি ইংলিশ, উর্দু, আরবিক, তামিল, তেলেগু ও হিন্দি সহ বিভিন্ন ভাষায় ছিল।
একই নম্বর থেকে দেশদ্রোহী বার্তার প্রচার
ওই সাংবাদিক লক্ষ্য করেন যে ছ'টি একই নম্বর থেকে বিভিন্ন গ্রুপে ঘৃণার মেসেজগুলি ছড়ানো হয়েছে। এরপরই এই সোশ্যাল মিডিয়ার বিরুদ্ধে সরব হয় পুলিশ-প্রশাসন।