যুদ্ধ সম্ভাবনার মাঝে কোন কোন রাজ্য চিনা সংস্থা গুলির সাথে চুক্তি বাতিল করতে পারে জেনে নিন
যুদ্ধ সম্ভাবনার মাঝে কোন কোন রাজ্য চিনা সংস্থা গুলির সাথে চুক্তি বাতিল করতে পারে জেনে নিন
যতই দিন যাচ্ছে ততই চড়ছে চিন-ভারত যুদ্ধ সম্ভাবনা। ক্রমেই বাড়ছে সীমান্তে উত্তেজান। গত সমোবার লাদাখে ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষের পরেই গোটা দেশেই চিনা পণ্য বয়কটের ডাক উঠেছে। সূত্রের খবর, এমতাবস্থায় চিনা সংস্থা গুলির সাথে চুক্তি বাতিল করতে পারে বেশ কিছু রাজ্য।
কয়েকশো কোটি টাকার চুক্তি বাতিল হরিয়ানার
সূত্রের খবর, একইসাথে চিনের হাতে ২০ ভারতীয় সেনার হত্যার পরেই সরকারি কর্মীদের মোবাইল ফোন থেকে চিনা অ্যাপ সরিয়ে ফেলারও নির্দেশ দিচ্ছে অনেক রাজ্যের প্রশাসনই। শনিবার, হরিয়ানা হিশার ও যমুনানগরের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে ফ্লু গ্যাস ডি-সালফিউরাইজেশন (এফজিডি) সিস্টেম স্থাপনের জন্য চিনা সংস্থার সাথে দুটি চুক্তি বাতিল করেছে। হরিয়ানা সরকারের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দু'টি দরপত্রের আওতায় প্রায় ৭৮০ কোটি টাকার কাজ হওয়ার কথা ছিল। একইসাথে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও বেশ কিছু চুক্তি বাতিল হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
একই পথে হাঁটতে চলেছে উত্তরপ্রদেশও
একই রাস্তায় হাঁটতে চলেছে উত্তরপ্রদেশও। এখন থেকে উত্তরপ্রদেশ তার জ্বালানি খাতের জন্য কোনও চাইনিজ সামগ্রী কিনবে না বলে জানান রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শ্রীকান্ত শর্মা। যদিও রাতারাতি চিনা সংস্থা গুলির সঙ্গে চুক্তি বাতিলের পথে হাঁটলে ভারতকে অনেক আইনি জটিলতার মধ্যে পড়তে হতে পারে বলে জানাচ্ছেন অনেক বিশেষজ্ঞই।
চিনা সংস্থার সাথে চুক্তি বাতিলের ক্ষেত্রে কি বলছে বিহার, উত্তরাখন্ড ?
অন্যদিকে একটু অন্য সুরে কথা বলতে দেখা গেল বিহারের শিল্প মন্ত্রী শ্যাম রজককে। তার কথায় ‘চিনা পণ্য নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কোন ভূমিকা ছিল না। রাজ্যে যে কোনও বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যে কোনও সংস্থাকে আগে কেন্দ্রের ছাড়পত্র নিতে হয়। অন্যদিকে চিন বিরোধী অবস্থান নেওয়ার পরিকল্পনা করছে উত্তরাখন্ড সরকারও। ইতিমধ্যেই কোন কোন চিনা সংস্থার সঙ্গে রাজ্য সরকারের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে তা খুঁজে বের করার জন্য সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এরপরেই তা বহাল বা বাতিলের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান উত্তরাখণ্ড সরকারের মুখপাত্র মদন কৌশিক।
কী বলছে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও রাজস্থান ?
এদিকে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও রাজস্থানের মতো বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা জানিয়েছেন চিনা পণ্য নিষিদ্ধ করার বিষয়ে তাদের তরফে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভার সাংসদ দোলা সেন কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুলে প্রশ্ন করেন, "চাইনিজ সংস্থাগুলিকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত কেবল কেন্দ্রই নিতে পারে। বিজেপি সরকার কেন এখনই চিনের সাথে সমস্ত বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করছে না? তাছাড়া, কোনও চিনা সংস্থাই পশ্চিমবঙ্গ ভিত্তিক ব্যবসা করে না।"
মনমোহনকে পাল্টা দিলেন নাড্ডা, কংগ্রেস জমানার হিসাব তুলে ধরে আক্রমণ লাদাখ ইস্যুতে