লকডাউনে ভিন রাজ্যে আটকে রয়েছেন? সহজ পদ্ধতি কীভাবে ই-পাস সংগ্রহ করবেন জেনে নিন
লকডাউনে ভিন রাজ্যে আটকে ? সহজ পদ্ধতি কী ভাবে ই-পাস সংগ্রহ করবেন জেনে নিন
লকডাউনের জেরে ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। ১৩ মে থেকে দিল্লি থেকে বেশ কিছু স্পেশাল ট্রেন চলাচল শুরু হলেও আটকে পড়া মানুষের সংখ্যার তুলনায় সেই সংখ্যা পর্যাপ্ত নয় বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন। অনেকেই বাধ্য হয়ে বিভিন্ন প্রাইভেট গাড়ি বা অন্যান্য যানবাহনের ব্যবস্থা করছেন।
কেন্দ্রীয় ভাবে ই-পাসের পরিকল্পনা সরকারের
কিন্তু এদিকে করোনা প্রাদুর্ভাব রোধে প্রতিটি রাজ্যের চেক পয়েন্টেই কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। যেকোনও রাজ্যের সীমানা পাড় করে অন্যত্র যেতে গেলেই লাগবে বৈধ সরকারি অনুমতি। এর জন্য একাধিক রাজ্যের সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই ই-পাস দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয়। বর্তমানে চুতুর্থ দফার লকডাউনে আন্তঃরাজ্য পরিবহনের জন্য কেন্দ্রীয় ভাবে ই-পাস দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এনআইসি-র তৈরি করা হয়েছে এই ওয়েবসাইট
ই-পাস প্রদানের প্রক্রিয়াটিকে সহজতর করতে ভারত সরকার পক্ষ থেকে বর্তমানে একটি সিঙ্গেল-পয়েন্ট অ্যাক্সেস ওয়েবসাইট (http://serviceonline.gov.in/epass/) তৈরি করা হয়েছে। যেখান থেকে সহজ কয়েকটি ধাপ অনুসরণের মাধ্যমে কোনও ব্যক্তি ই-পাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন। জাতীয় তথ্যবিজ্ঞান কেন্দ্র বা এনআইসি-র দ্বারা এই ওয়েবসাইটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
১৭টি রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য কেন্দ্রীয় ভাবে চালু থাকছে এই সাইট
যদিও বর্তমানে শুধুমাত্র ১৭টি রাজ্যের জন্য কেন্দ্রীয় ভাবে এই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। বাকি রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য সেই রাজ্যের সরকারি ভাবে তৈরি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে। ইতিমধ্যেই ই-পাসের জন্য ৩৩ লক্ষেরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত ১১ লক্ষ ৬৭ হাজারের বেশি ই-পাস ইস্যু করা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
১৭ টি রাজ্য ছাড়া অন্য রাজ্যের বাসিন্দারা কি করবেন ?
যদিও সমস্ত রাজ্য গুলি এই তালিকায় নেই সেই সমস্ত রাজ্যের আটকে পড়া মানুষেরা যদি এই সাইটে গিয়ে ই-পাসের আবেদন জানাতে চান তাহলে তাদের জন্য নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও থাকছে। ধরা যাক, আপনি নয়ডার পাস পেতে চাইছেন তবে আপনাকে সিলেক্ট সিটি বক্সে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচন করতে হবে। এই ওয়েবসাইটটি তখন আপনাকে সরাসরি উত্তরপ্রদেশের ই-পাস ওয়েবসাইটের জন্য একটি হাইপার লিঙ্ক প্রদান করবে। যেখান থেকে আপনি বাকী আবেদন সহজেই করতে পারবেন।
কী কী তথ্য থাকছে এই ই-পাসে ?
যে কোনও ব্যক্তি বা দল এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ই-পাসের আবেদন করতে পারবেন বলে জানা যাচ্ছে। বৈধ পরিচয় পত্রের স্ক্যানড কপি ও চালু থাকা একটি মোবাইল নম্বর আবেদন জানানোর শুরুর দাপেই লাগবে। পরবর্তীতে ওটিপির মাধ্যমে মোবাইল নম্বরটির বৈধতা যাচাইয়ের পর ফর্ম ফিলাপ করতে দেওয়া হচ্ছে। ই-পাসের মধ্যে থাকছে আবেদনকারীর নাম, ঠিকানা, মেয়াদ এবং একটি কিউআর কোড।
চিন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধের মাঝেই এবার ভারতকে কাছে চাইছে বেজিং!