করোনা টিকাকরণ শুরু মুখেই কড়া নির্দেশ কেন্দ্রের! চাপের মুখে সিরাম, ভারত বায়োটেক
করোনা টিকাকরণ শুরু মুখেই কড়া নির্দেশ কেন্দ্রের! চাপের মুখে সিরাম, ভারত বায়োটেক
আগামী শনিবার থেকে ভারত জুড়ে শুরু হতে চলেছে প্রথম পর্যায়ের কোভিড টিকাকরণ কর্মসূচী। যদিও বর্তমান প্রেক্ষাপটে একাধিক দেশের অবস্থা দেখে নানামহল থেকেই উঠছিল ভারতের দুই করোনা টিকার সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত একগুচ্ছ প্রশ্ন। টিকাগ্রহণকারীদের শারীরিক ক্ষতি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে কতটা ওয়াকিবহাল ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারীরা, এ নিয়েও ছিল ধোঁয়াশা। অবশেষে মিলল উত্তর! কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, টিকা নেওয়ার পর কোনোরকমের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হলে সেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকবে ভারত বায়োটেক ও সিরাম ইনস্টিটিউটের মত প্রতিষেধক প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি।
সরকারি চুক্তিতে ক্ষতিপূরণের উল্লেখ
কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর, ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা ও সরকারের মধ্যে হওয়া চুক্তিতেই উল্লেখিত হয়েছে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি। জানা গেছে, সিডিএসসিও ও ডিসিজিআই-এর নিয়মানুসারে, যেকোনোরকমের উল্টো প্রভাব দেখা গেলে সরকারকে যথাসত্বর খবর দিতে বাধ্য সংস্থাগুলি এবং সেক্ষেত্রে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে সিরাম ইনস্টিটিউট ও ভারত বায়োটেক-এর মত সংস্থাগুলি।
ব্রিটেনের থেকে শিক্ষা নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা
ব্রিটেন ও ফাইজারের চুক্তি থেকে শিক্ষা নিয়েই এমন ব্যবস্থা নিচ্ছে কেন্দ্র, এমনটাই মত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের। তাঁর বক্তব্য, "ভারতে জরুরিভিত্তিতে ছাড়পত্র পেয়ে গেছে ভারত বায়োটেক ও সিরাম ইনস্টিটিউট। সেক্ষেত্রে টিকা গ্রহণকারীদের কোনোরকম ক্ষতি হলে তার জন্য দায়ী থাকবে দুই সংস্থা।" কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তে স্বভাবতই খুশি প্রথম পর্যায়ে টিকা পেতে চলা কোভিড-যোদ্ধারা।
আইনি নিরাপত্তার দাবি সিরামের
এদিকে টিকাগ্রহণকারীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে সরকারি নিরাপত্তার দাবি জানালেন পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট (এসআইআই)-এর সিইও আদার পুনাওয়ালা। আদারের মতে, "ক্ষতিপূরণের খবর পাওয়ার পর মাঝেমধ্যেই নকল অভিযোগের কারণে সমস্যায় পড়তে হতে পারে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারীদের। সেক্ষেত্রে সরকারের উচিত, আমাদের আইনি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা।"
সরকারি সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ ভ্যাকসিন সংস্থাগুলির
ক্ষতিপূরণের বিষয়ে বলতে গিয়ে এসআইআইয়ের এক আধিকারিকের জানান, "ইতিপূর্বে এহেন নকল অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছি আমরা। এ বিষয়ে সরকারের কাছে আমরা নিরাপত্তার আবেদন করেছি।" ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী একাধিক সংস্থার দাবি, প্রবল চাপ ও অতি কম সময়ের মধ্যে টিকা প্ৰস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে, সেক্ষেত্রে আইন লঘু করার আর্জি ছিল সংস্থাগুলির। যদিও কেন্দ্র যে নাগরিকদের সুরক্ষার দিকটিই আগে রাখছে, এই বিষয়ে স্বভাবতই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভ্যাকসিন সংস্থাগুলি।
রাম সেতুর রহস্যভেদে আগ্রহী আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া, শীঘ্রই শুরু সমুদ্রপথে গবেষণা