সিএএ নিয়ে মুখ খুললেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন! কী বললেন অর্থমন্ত্রী?
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এবার মুখ খুললেন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে। মানুষের জীবনকে আরও ভালো করার লক্ষ্যেই সিএএ এনেছি আমরা। পাশাপাশি তিনি আবার বলেন, 'সিএএ মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্যে, কারোর নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্যে নয়।' আজ তিনি জানান, গত ৬ বছরে ২৮৩৮ জন পাক শরণার্থী, ৯১৪ আফগানিস্তানী, ১৭২ জন বাংলাদেশী শরণার্থীকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে মুসলমানরাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এদিকে বিরোধীদের অভিযোগ, সিএএ বিভেদমূলক একটি আইন। এটি দেশের মুসলিমদের বিরোধী। তবে এই যুক্তিকে নস্যাৎ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, '২০১৪ সাল থেকে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা ৫৬৬ জন মুসলিমকে ভারত নাগরিকত্ব প্রদান করেছে। এদের মধ্যে ২০১৬ ও ২০১৮ সালের মাঝেই আফগানিস্তান থেকে আসা ৩৯১ জনকে ভারত নাগরিকত্ব প্রদান করেছে।'
পূর্ব পাকিস্তান থেকে আগত লোকেরাও এখন ভআরতের বিভিন্ন প্রান্তে শরণার্থী হিসাবে ক্যাম্পে থাকছে ও কষ্টকর জীবন জীবনযাপন করছে। আমাদের দেশে তারা ৫০-৬০ বছর ধরে থাকছে। তবে এখনও তারা নাগরিকত্ব পাননি। আপনারা নিজেরা শিবিরগুলিতে যান। শ্রীলঙ্কার শরণার্থীদের অবস্থাও একই রকম এবং তারাও এত বছর ধরে শিবিরগুলিতে রয়েছেন। তারা নাগরিকত্ব না পাওয়ায় খুব মৌলিক সুযোগ সুবিধাগুলিও পান না।'
নতুন নাগরিকত্ব সংশোধিত আইনের শর্ত, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ বা তার আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে যে সমস্ত অমুসলিম শরণার্থীরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। অর্থাৎ, হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, পারসি বা জৈন ধর্মের যেই লোকেরা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে থেকে ভারতে বসবাস করেছেন, তারা ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। বিলটি লোকসভায় ৩১১-৮০ ব্যবধানে পাশ হয়। এরপর রাজ্যসভায় এটি পাশ হয় ১২৫-৮২ ব্যবধানে।
এই আইনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে সাধারণ মানুষ। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পর থেকেই দেশ জুড়ে এর বিরোধিতায় রাস্তায় নেমেছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনও। এই আইনের বিরোধিতায় সব থেকে বেশি সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের। এরপর একে একে পথে নামে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়, হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, জেএনইউ সহ দেশের বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে বিজেপি প্রথম থেকেই দাবি করে এসেছে আইন নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝআচ্ছে কংগ্রেস সহ বিরোধীদের।