এবার পেট্রোল, ডিজেল, এলপিজিও কি জিএসটির আওতায়, কী মত মোদী সরকারের
পেট্রোল, ডিজেল এবং এলপিজিকে জিএসটির আওতায় আনার পক্ষে মতপ্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। রাজ্যগুলি বিষয়টি নিয়ে সহমত হবে বলেই আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
পেট্রোল, ডিজেল এবং এলপিজিকে জিএসটির আওতায় আনার পক্ষে মতপ্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। রাজ্যগুলি বিষয়টি নিয়ে সহমত হবে বলেই আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
রাজ্যসভায় পেট্রোলিয়াম প্রোডাক্টকে জিএসটির আওতায় আনা নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তাঁরা পেট্রোলিয়াম প্রোডাক্টকে জিএসটির আওতায় আনার পক্ষে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম রাজ্যসভায় বলেন, দেশের ১৯ টি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। পেট্রোলিয়াম প্রোডাক্টকে জিএসটির আওতায় আনতে কে কেন্দ্রকে বাধা দিচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলে কার্যত কটাক্ষ করেন চিদাম্বরম। জিএসটি কাউন্সিল কখন বিষয়টি তুলবে বলেও প্রশ্ন করেন তিনি।
জেটলি উত্তর দেন, ড্রাফট তৈরির সময়ও ইউপিএ-ও পেট্রোলিয়াম পণ্যকে জিএসটির অধীনে আনার কথা ভাবেনি। তারা জানত সেটা করতে গেলে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে চুক্তি ভঙ্গ হবে। তবে বর্তমান এনডিএ সরকার রাজ্যগুলির মধ্যে সহমতের অপেক্ষা করবে। রাজ্যগুলি এখন হোক কিংবা পরে এই বিষয়টি নিয়ে সহমত হবে বলেই মনে করছেন অরুণ জেটলি।
বিশ্বের বাজারে তেলের দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে দেশে পেট্রোল কিংবা ডিজেলের দাম কেন কমে না, সেই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, রাজ্যগুলি এইসব পেট্রোপণ্যের ওপর বড় পরিমাণ চাপিয়ে রেখেছে।
গত সপ্তাহে, বিহারের অর্থমন্ত্রী সুশীল মোদী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, জিএসটি কাউন্সিল ভবিষ্যতে ইলেকট্রিসিটি এবং পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় আনার চিন্তাভাবনা করবে।
বণিকসভা ফিকির বার্ষিক সাধারণ সভায় ইলেকট্রিসিটি, রিয়েল এস্টেট, স্ট্যাম্প ডিউটি এবং পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় আনার ব্যাপারে নিজের সহমত প্রকাশ করেছিলেন সুশীল মোদী।