ভারত সিঙ্গাপুর নয়, জিএসটি দিবসের আগে একথা কেন বললেন অরুণ জেটলি
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি সাফ জানালেন ভারতে একক স্ল্যাবের জিএসটি লাগু সম্ভব নয়।
জিএসটির বর্ষপূর্তিতে এই কর ব্যবস্থাকে 'ঐতিহাসিক' ও 'গেমচেঞ্জার' বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। জানালেন, শুরুতে প্রযুক্তি ও পরিকাঠামোগত কিছু অনিবার্য সমস্যা সামলে এখন ট্যাক্স ফাইল করা ও রিটার্ণ পাওয়া মসৃণ হয়ে গিয়েছে। তবে ভারতে যে সিঙ্গাপুরের মতো একক স্ল্যাবের জিএসটি লাগু সম্ভব নয় তাও সাফ জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
বর্তমানে ভারতে জিএসটির ৫ টি স্ল্যাব রয়েছে। বিভিন্ন পন্যের প্রকরণের ভিত্তিতে ০ থেকে ২৮ শতাংশ পর্যন্ত কর নেওয়া হয়। বিরোধীদের দাবি এ ব্যবস্থা অত্যন্ত জটিল। তাঁরা অনেকেই সিঙ্গাপুর মডেলের কথা বলেন। সিঙ্গাপুরে ১ স্ল্যাবের জিএসটি রয়েছে।
জিএসটি দিবসের আগে এক ফেসবুক পোস্টে অর্থমন্ত্রী কিন্তু স্পষ্ট করে জানিয়েছেন সিঙ্গাপুর মডেল ভারতে অচল। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে সিঙ্গাপুরের মতো ছোট দেশে সব নাগরিকের ক্রয় ক্ষমতাই ঊনিশ-বিশ। তাই, সেদেশে এক স্ল্যাবের জিএসটি চলতে পারে। কিন্তু ভারতে অর্থনৈতিক অসাম্য রয়েছে। তাই ভোগ্য পন্যের সমান কর খাদ্য় পন্যেও লাগু করা ভারতে সম্ভব নয়।
তবে এক দেশ এক কর ব্যবস্থা চালু হওয়ায় ভারতে ব্যবসা করা সহজ হয়ে উঠেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তিনি আরও জানান, জিএসটি চালু হওয়ার পর থেকে কম উন্নত রাজ্যগুলিতে উল্লেখযোগ্য হারে ট্যাক্স বেস বেড়েছে।
তাঁর মতে অবশ্য এরপরেও জিএসটি-র সরলীকরণ করা সম্ভব। তিনি জানান, রাজ্স্ব ব্যবস্থা ও জিএসটি থিতু হলেই জিএসটি কাউন্সিল আরও পন্যকে এর আওতায় এনে এই ব্যবস্থাকে আরও সরল করায় নজর দেবে।
এই কর ব্যবস্থায় রাজ্যগুলির আয় বৃদ্ধিও হয়েছে বলে জানিয়েছএন অরুণ জেটলি। তিনি জানান ২০১৬ সালের থেকে বর্তমানে সেস-এর ক্ষতিপূরণ নিয়ে রাজ্যগুলির ১৪ শতাংশ কর ভিত্তি বেড়েছে। এরপর আইজিএসটি ছাড়া সুরু হলে সেই ক্ষতিপূরণ ছাড়াই রাজ্যগুলি ১৪ শতাংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়ে ঢাবে বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি আরও জানান পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে জিএসটি ভারতের রাজ্যস্ব আদায়ে বিপ্লব এনেছে। তিনি জানান প্রথম ৯ মাসেই রাজস্ব সংগ্রহের মোট পরিমাণ ৮.২ লক্ষ কোটিতে পৌঁছে গিয়েছিল। ১ বছরের হিসেব নিলে ১১ লক্ষ কোটি ছাপিয়ে যাবে। অর্থাত রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১১.৯ শতাংশ।