এনপিআর-এর পদ্ধতি নিয়ে আপত্তি, বেশ কিছু বিষয়ে 'ছাড়' স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
দিল্লিতে সেনসাস, এনপিআর-এর প্রয়োগ নিয়ে বৈঠক। আর সেখানেই এনপিআর-এর প্রয়োগের পদ্ধতি নিয়ে আপত্তি কয়েকটি অবিজেপি রাজ্যের।
দিল্লিতে সেনসাস, এনপিআর-এর প্রয়োগ নিয়ে বৈঠক। আর সেখানেই এনপিআর-এর প্রয়োগের পদ্ধতি নিয়ে আপত্তি কয়েকটি অবিজেপি রাজ্যের। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বেশ কিছু বিষয়ে সাধারণ মানুষ তথ্য নাও দিতে পারেন, সেটা একেবারেই স্বেচ্ছামূলক বলে জানানো হয়েছে।
দিল্লিতে বৈঠকে প্রতিবাদ
শুক্রবার দিল্লিতে বৈঠক ছিল সেনসাস আর এনপিআর নিয়ে। আয়োজক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেখানেই রাজস্থান-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য তাদের প্রতিবাদের বিষয়টি তুলে ধরে। প্রসঙ্গত এবছরেই যেমন সেনসাসের কাজ শুরু করা হবে, ঠিক তেমনই ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এনপিআর-এর কাজ।
রাজস্থানের মুখ্যসচিব ডিবি গুপ্তা জানিয়েছেন, তিনি এবং অন্য বেশ কয়েকটি রাজ্যের প্রতিনিধি বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছেন। এনপিআর-এর প্রক্রিয়া চলার সময় তথ্য সংগ্রহকারীরা যে প্রশ্ন করবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। রাজস্থানের মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, এনপিআর-এর বেশ কিছু প্রশ্ন অকার্যকর। যেমন, বাবা-মায়ের জন্মস্থান নিয়ে প্রশ্ন। তিনি বলেন, সারা দেশে এমন বহু মানুষ আছে, যাঁরা তঁদের জন্মস্থান কোথায় তা জানেন না। এই প্রশ্নের কী উদ্দেশ্য রয়েছে, তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। এই ধরনের প্রশ্ন বাদ দেওয়ার দাবিও তোলা হয় বৈঠকে।
উত্তর বাধ্যতামূলক নয়, স্বেচ্ছামূলক
রাজস্থানের মুখ্যসচিব আরও জানিয়েছেন, বৈঠকে উপস্থিত কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এইধরনের প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা বাধ্যতামূলক নয়, স্বেচ্চামূলক। কোনও প্রশ্নের উত্তর জানতে কোনও রকমের চাপ দেওয়া হবে না বলেও জানানো হয়েছে। বৈঠকে জানানো হয়েছে, এই ধরনমের প্রশ্ন আগেও করা হয়েছিল।
কেরল সরকারের প্রতিনিধি জানান, রাজ্যে এনপিআর-এর প্রয়োগ স্থগিত রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়গুলিত সম্পর্কে জানালেই সেই প্রক্রিয়া আবার শুরু করা যেতে পারে। একই সঙ্গে কেরলের প্রতিনিধি জানিয়েছেন সেনসাস নিয়ে কেরল সরকার সহযোগিতা করবে।
নেওয়া হবে না প্যান কার্ডের তথ্য
বৈঠকে জানানো হয়েছে প্যান কার্ড সম্পর্কিত কোনও তথ্য এই প্রক্রিয়ায় সংগ্রহ করা হবে না।
বৈঠকে ছিল না পশ্চিমবঙ্গের কোনও প্রতিনিধি
এদিনের বৈঠকে মুখ্যসচিবদের উপস্থিতির কথা থাকলেও কোনও কোনও রাজ্যের প্রিন্সিপাল সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোনও প্রতিনিধি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। তবে কলকাতার সেনসাস ডিরেক্টরের এক আধিকারিক সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন, সিটিজেনশিপ রুলস ২০০৩ অনুযায়ী এনপিআর
বৈঠকে বলা হয়েছে এনপিআর হল দেশের সাধারণ নাগরিকের রেজিস্টার। যা গ্রাম, মহকুমা, জেলা, রাজ্য এবং জাতীয় পর্যায়ে নাগরিকত্ব আইন ১৯৫৫ এবং সিটিজেনশিপ রুলস ২০০৩ এঅনুযাযী করা হচ্ছে। এই আইনে রয়েছে, আইন ভঙ্গকারীদের জন্য জরিমানাও । এক্ষেত্রে ১০০০ টাকার জরিমানার সংস্থান রাখা হয়েছে।