কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের আগের কয়েকটি মুহূর্ত, যেখান থেকে নিশ্চিত হয়েছিল ভোট অবশ্যম্ভাবী
কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের আগের কয়েকটি মুহূর্ত, যেখান থেকে নিশ্চিত হয়েছিল ভোট অবশ্যম্ভাবী
চব্বিশ বছরের বেশি সময় পরে কংগ্রেসের সভাপতি পদে নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনে নেহরু-গান্ধী পরিবারের বাইরে দুই প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা। লড়াইয়ে প্রত্যাশা মতোই জয়ী হয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খারগে। দলের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরেও প্রথম দেওয়া ভাষণে খারগে ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন।
সরে দাঁড়িয়েছিলেন অশোক গেহলট
কংগ্রেসের সভাপতি পদে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট প্রাথমিকভাবে এগিয়ে ছিলেন। ২২ অগাস্ট তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যেহেতু গান্ধী পরিবারের কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না সেই কারণে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদি ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি বলেছিলেন নিজের রাজ্যে অশান্তির কারণে কংগ্রেস সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। তিনি প্রাথমিকভাবে রাজ্যস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদের পাশাপাশি দলের শীর্ষপদগ রাখার আশা করেছিলেন। কিন্তু রাহুল গান্ধীর এক ব্যক্তি এক পদের নীতির কারণে সেই ইচ্ছা ত্যাগ করতে হয় অশোক গেহলটকে।
রাজস্থানে রাজনৈতিক সংকট
দলের সভাপতির পদে নিজের লড়াইয়ের কথা ঘোষণার পরে গেহলট বলেছিলেন, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদে কে বসবেন সে ব্যাপারে সোনিয়া গান্ধী এবং কংগ্রেসের রাজস্থান ইনচার্জ অজয় মাকেন সিদ্ধান্ত নেবেন। এব্যাপারে সচিন পাইলটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে গেহলট শিবিরের অন্তত ৯০ জন বিধায়ক বিধানসভার অধ্যক্ষ সিপি যোশীর কাছে তাঁদের পদত্যাগপত্র জমা দেন। নাম না করে তাঁদের বক্তব্য ছিল ২০২০-তে দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা সচিন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মেনে নেবেন না। পরে এব্যাপারে তিনি সোনিয়া গান্ধীর কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন গেহলট।
দিগ্বিজয় সিং দৌড়ে ছিলেন
কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা দিগ্বিজয় সিং ২৯ সেপ্টেম্বর দলের সভাপতি নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র তুলেছিলেন। কেননা সেই সময় অশোক গেহলট জানিয়ে গিয়েছেন, তিনি সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। দিগ্বিজয় সিং-এর পরে মল্লিকার্জুন খারগে এবং কেসি বেনুগোপালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। খারগের সঙ্গে বৈঠকের পরে তিনি জানান, দলের সভাপতি নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। খারগেকে তাঁর নেতা বলেও ঘোষণা করেছিলেন দিগ্বিজয় সিং।
মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন খারগে
দিগ্বিজয় সিং কংগ্রেসের সভাপতি পদে নির্বাচনে সরে দাঁড়ানোর পরে ৩০ সেপ্টেম্বর মল্লিকার্জু খারগে এআইসিসির দফতরের দলের সভাপতি পদের জন্য মনোনয়ন দাখিল করেন। এই নির্বাচনে খারগে ছিলেন গান্ধী পরিবারের অনুগত। তাঁর প্রার্থী পদের প্রস্তাব করেন অশোক গেহলট, দিগ্বিজয় সিং, প্রমোদ তিওয়ারি, পিএল পুনিয়া, একে অ্যান্টমি, পবনকুমার বনসাল এবং মুকুল ওয়াসনিকের মতো নেতনেত্রীরা। অন্যদিকে কংগ্রেস জি-২৩-এর নেতা আনন্দ শর্মা এবং মণীশ তিওয়ারিও খারগের প্রার্থীপদের প্রস্তাবক হয়েছিলেন।
মনোনয়ন জমা দেন শশী তারুরও
কেরলের তিরুবনন্চপুরমের সাংসদ শশী তারুরও ৩০ সেপ্টেম্বর কংগ্রেসের সভাপতি পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দেন। তিনি প্রচারে বলেছিলেন, যাঁরা পরিবর্তন চান, তাঁরা যেন তাঁকেই ভোট দেন। তারুর বলেছিলেন, এটা বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হতে চলেছে। তাঁরা কেউ কারও প্রতিদ্বন্দ্বী নন। তবে তারুর বলেছিলেন, তিনি অসম প্রতিযোগিতায় সামিল হয়েছেন।
শশী থারুরের প্রাপ্ত ভোট সংস্কার আর পরিবর্তনের! গান্ধী পরিবারের জন্য বার্তা