ভোট চুরি যাওয়ার ভয়, রাজ্যসভা নির্বাচনের একদিন আগে 'রিসর্ট রাজনীতি' মহারাষ্ট্রে
ভোট চুরি যাওয়ার ভয়, রাজ্যসভা নির্বাচনের একদিন আগে 'রিসর্ট রাজনীতি' মহারাষ্ট্রে
১০ জুন ১৫ টি রাজ্যের ৫৭ আসনে রাজ্যসভা নির্বাচন৷ তার ঠিক একদিন আগে ভোট চুরি যাওয়া আটকাতে 'রিসর্ট রাজনীতি' শুরু হল মহারাষ্ট্রে৷ মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন মহা বিকাশ আগদি তার বিধায়কদের ভোট 'ঘোড়া-কেনাবেচা' থেকে রক্ষা করতে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে। দক্ষিণ মুম্বাইয়ের একটি পাঁচতারা হোটেলে রাখা হয়েছে বিধায়কদের৷ এর আগে, কংগ্রেস এবং বিজেপি উভয়ই তাদের বিধায়কদের রাজস্থান এবং হরিয়ানার বিভিন্ন রিসর্টে স্থানান্তরিত করেছিল ক্রস ভোটিংয়ের সম্ভাবনা দূর করতে।
মহারাষ্ট্রে ক্রস ভোটিংয়ের ভয় কেন অশান্ত করছে রাজনৈতিক দলগুলিকে?
মহারাষ্ট্রের বিধায়করা ১০ জুন ছ'টি রাজ্যসভার আসনে জয় পরাজয় নিশ্চিত করতে ভোট দেবেন। মহারাষ্ট্রে প্রত্যেকটি রাজ্যসভা আসন জয়ের জন্য ৪২ ভোটের প্রয়োজন হবে। ক্ষমতাসীন শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেস জোটের তিনটি আসনে জয়ের জন্য পর্যাপ্ত ভোট (১৫১) রয়েছে এবং তারা চারটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে৷ মহারাষ্ট্রে বিজেপির ১০৬ জন বিধায়ক রয়েছে এবং দুটি রাজ্যসভা আসনে জয় নিশ্চিত গেরুয়া শিবিরের। তবে ছ'টি আসনের তিনটিতে লড়াইয়ের জন্য তিনজন প্রার্থীকে মাঠে নামিয়েছে গেরুয়া শিবির। চতুর্থ আসনটি সুরক্ষিত করতে কংগ্রেস জোটের আরও কিছু ভোটের প্রয়োজন। অন্যদিকে তিন নম্বর সাংসদ আসনটি জিততে বিজেপির আরও অন্য দলের বিধায়কদের সহায়তা৷
মহারাষ্ট্রের কোন দলে কত বিধায়ক?
মহারাষ্ট্রে বিজেপির মোট ১০৫ জন বিধায়ক রয়েছে। শিবসেনার ৫৫, এনসিপির ৫৪ এবং কংগ্রেসের ৪২ জন মিলে জোটের মোট ১৫১ বিধায়ক রয়েছে। এছাড়াও ছোট দল ও নির্দলগুলি মিলে মোট ২৯ জন বিধায়ক রয়েছেন মহারাষ্ট্রে। তাই দলের দুই প্রার্থী জয় নিশ্চিত হওয়ার পরে, ছোট দলগুলির সমর্থনের তৃতীয় আসন জিততে চাইছে বিজেপি৷ তৃতীয় আসন জয়ে বিজেপির প্রয়োজন ২৯ টি ভোট। আবার চতুর্থ আসন জয়ে শিবসেনা জোটের প্রয়োজন ২৭ জন বিধায়কের ভোট!
রাজ্যসভা কোন রাজ্যে কত আসন খালি?
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি, কংগ্রেস নেতা অম্বিকা সোনি, জয়রাম রমেশ এবং কপিল সিবাল, বিএসপি-র সতীশ চন্দ্র মিশ্রের মতো জনপ্রিয় নেতারা ২১ জুন থেকে ১ আগস্টের মধ্যে রাজ্যসভা থেকে অবসর নিচ্ছেন। চলতি মরশুমে উত্তরপ্রদেশে ১১ টি রাজ্যসভা আসন খালি হবে৷ তামিলনাড়ু এবং মহারাষ্ট্রে ছ'টি রাজ্যসভা আসনে অবসর নেবেন সাংসদরা৷ বিহার এবং অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে পাঁচটি রাজ্যসভা আসনে নির্বাচন হবে। অন্যদিকে রাজস্থান এবং কর্ণাটক থেকে চারজন করে সাংসদ অবসর নিচ্ছেন। আবার মধ্যপ্রদেশ ও ওড়িশায় তিনজন সদস্য রাজ্যসভা থেকে অবসর নেবেন, তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড়, পাঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড ও হরিয়ানা থেকে দুজন করে এবং উত্তরাখণ্ডের একজন সদস্য রাজ্যসভা থেকে অবসর নিতে চলেছেন৷