আইন-শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা, প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্রাক্টর মার্চে নিষেধাজ্ঞা চাইছে কেন্দ্র
প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্রাক্টর মার্চে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ কেন্দ্র
কৃষি আইনে সুপ্রিম স্থগিতাদেশের পর এমনিতেই চাপে পড়েছে কেন্দ্র। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই রায়ই বহাল থাকবে বলে মঙ্গলবারই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। এমতবস্থায় এবার ২৬ জানুয়ারি কৃষকদের ডাকা ট্রাক্টর মার্চে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কেন্দ্র।
৭ জানুয়ারি তার মহড়া দেখেই চাপে কেন্দ্র
প্রায় দু-মাস ধরে চলা কৃষক আন্দোলনের পরেও আজও বেরোয়নি কোনও সমাধানসূত্র। এমতবস্থায় বুধবার থেকে 'দেশ জাগরণ অভিযান' শুরু করছেন কৃষকরা। ২৬ জানুয়ারি দিল্লির রাজপথে ট্রাক্টর মার্চের পরিকল্পনাও রয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। এমনকী গত ৭ জানুয়ারি তার মহড়াও শুরু দেন আন্দোলনরত কৃষকরা। যাতে অংশ নেয় প্রায় ২৫০০ ট্রাক্টর। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে দিল্লির একটা বড় অংশ।
ট্রাক্টর মার্চে নিষেধাজ্ঞা চাইছে কেন্দ্র
এদিকে করোনা পরিস্থিতির কথায় মাথায় রেখে এমননিতেই প্রজাতন্ত্র দিবসে একাধিক অনুষ্ঠানে কাটছাঁট করেছে কেন্দ্র। পাশাপাশি জঙ্গি নাশকতার কথা মাথায় রেখেই এখন থেকেই বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তা। অন্যদিকে একটানা কৃষক আন্দোলনের রেশ ধরেই সিঙ্ঘু সীমান্ত সহ দিল্লি বর্ডারের একটা বড় অংশ উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। এমতাবস্থায় দিল্লির আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্রাক্টর মার্চে নিষেধাজ্ঞা চাইছে কেন্দ্র।
সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা আবেদন পত্রে কী বলছে কেন্দ্র
প্রজাতন্ত্র দিবেসের আনন্দ অনুষ্ঠানে বিঘ্ন ঘটাতেই এক শ্রেণির রাজনীতিকরা পরিকল্পনা করে এই ট্রাক্টার মার্চের আয়োজন করেছেন বলে সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা আবেদন অভিযোগ করেছে কেন্দ্র। শুধু তাই নয় ওই আবেদনে কেন্দ্রকে আরও লিখতে দেখা গিয়েছে, " আমরা জানতি পেরেছি একাধিক ছোট গোষ্ঠী ও অন্দোলনরত সংগঠন ২৬ জানুয়ারি দিল্লির রাজপথে ট্রাক্টর মিছিলের পরিকল্পনা করেছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের মতো জাতীয় উদযাপনের আঙিনায় এই মিছিল দেশের জন্য বড়সড় বিড়ম্বনার সৃষ্ঠি করতে পারে। একইসাথে এই মিছিলের কারণে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও অবনতি হতে পারে।"
পূর্ব ও পশ্চিম দিল্লির রাস্তা অবরুদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ট্রাক্টর মিছিলের ফলে পূর্ব ও পশ্চিম দিল্লির রাস্তা অবরুদ্ধ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। ফলস্বরূপ রাজধানীর লাগোয়া অংশে রাস্তায় যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে দীর্ঘ আন্দোলনের পরেও এখনও পর্যন্ত কৃষকরা অনড় রয়েছেন তাঁদের অবস্থানে। ৩টি কৃষি আইন বাতিল ছাড়া তাঁরা আর কোনও প্রস্তাবেই তারা সারা দেবেন না বলেও জানিয়েছেন। এমতাবস্থায় সুপ্রিম স্থগিতাদেশের পর জল কতদূর গড়ায় এখন সেটাই দেখার।
শুভেন্দুর বিকল্প মুখ খুঁজে পেয়ে গেল তৃণমূল! অধিকারী-গড়ে অগ্নিপরীক্ষা একুশের ভোটে