পাকিস্তানে দাউদের ঠিকানা, কাজ নিয়ে ভারতের হাতে গোপন তথ্য ফারুক টাকলাকে জেরা করে
দাউদ ইব্রাহিমকে নিয়ে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য জেরায় কবুল একসময়ের বিশ্বস্ত সঙ্গী বিশ্বস্ত সঙ্গী ফারুক টাকলার। একনজরে জেনে নেওয়া যাক ফারুক টাকলার বয়ানে সেই সমস্ত তথ্য।
দাউদ ইব্রাহিমকে নিয়ে এদেশে আলোচনার শেষ নেই। ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী তথা ১৯৯৩ সালের মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনায় মূল অপরাধী দাউদকে এদেশে ফিরিয়ে আনাই ভারত সরকারের কাছে বহুবছরের চ্যালেঞ্জ। কয়েকদিন আগেই দিল্লিতে গ্রেফতার হয়েছে দাউদের বিশ্বস্ত সঙ্গী ফারুক টাকলা। তাকে জেরা করে দাউদ সম্পর্কে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। জি নিউজের রিপোর্টে সেরকমই দাবি করা হয়েছে। একনজরে জেনে নেওয়া যাক ফারুক টাকলার বয়ানে সেই সমস্ত তথ্য।
বিস্ফোরক টাকলা
দাউদের পাকিস্তানের ঠিকানার সম্পূর্ণ তথ্য, কোথায় লুকিয়ে থাকে দাউদ, কীরকম কঠিন নিরাপত্তা বলয়ে দাউদকে রাখা হয়, সেই সমস্ত কিছু টাকলা তদন্তকারীদের জানিয়েছে। পাকিস্তানি সেনা রেঞ্জারদের নিরাপত্তায় দাউদ ঘেরা থাকে বলে জানিয়েছে সে।
পাক রেঞ্জার্সদের নিরাপত্তায় দাউদ
টাকলা স্বীকার করেছে, পাকিস্তানে সেনা রেঞ্জার্সদের নিরাপত্তা বলয়ে দাউদ ও তার পরিবার থাকে। করাচির অভিজাত ক্লিফটন এলাকায় দাউদের বাংলো রয়েছে। সেখানে পাক রেঞ্জার্সরা দিনরাত দাউদকে পাহারা দেয়।
নিয়মিত ঠিকানা বদল
পাকিস্তানে কোনও ভিভিআইপি এলেই অথবা আন্তর্জাতিক মহলে ভারত চাপ দিলেই পাকিস্তানে দাউদকে ঠিকানা বদল করতে হয়। গোপন আস্তানায় দাউদকে চলে যেতে হয়।
গোপন দ্বীপে আস্তানা
সেই গোপন আস্তানা রয়েছে 'আন্ডা গ্রুপ অব আইল্যান্ড'-এ। সেখানে দাউদ ও তার স্ত্রী ছাড়া আর কারও থাকার অনুমতি নেই। দাউদকে সেখানে কঠিন সময়ে ঘিরে রাখে পাক রেঞ্জার্সরা।
বিশেষ ফোন ব্যবহার
দাউদের সঙ্গে সাধারণ ফোনে যোগাযোগ করা যায় না। বিশেষ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে দাউদের সঙ্গে পাক সেনা যোগাযোগ রাখে। সেই লাইন অন্য কিছুতে ব্যবহার করা হয় না।
প্রয়োজনে দুবাই যাত্রা
টাকলার দাবি, পাকিস্তানি উপকূল রক্ষী বাহিনী প্রয়োজন হলে দাউদকে গার্ড দিয়ে অনেকবার দুবাই নিয়ে গিয়েছে। টাকলা নিজে দুবাই থাকাকালীন দাউদকে সেখানে স্বাগত জানিয়েছে শুধু নয়, দুবাই থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে।
পাকিস্তানে দাউদের মৃত্যুর আশঙ্কা
দাউদ শুধু ভারতেই নয়, পাকিস্তানেও মৃত্যুর আশঙ্কায় রয়েছে। ছোট রাজনের গ্যাং বাদে পাকিস্তানের লোকাল গ্যাংও দাউদকে ২০০০ ও ২০০৫ সালে মারার চেষ্টা করেছে বলে তদন্তকারীদের কাছে দাবি করেছে টাকলা।
টাকলার দাবি
এদিকে টাকলা নিজের সম্পর্কে জানিয়েছে, সে দুবাইয়ে ট্যাক্সি চালিয়ে আত্মগোপন করে ছিল। ভারতে তার মা ও ভাই রয়েছে। দুবাইয়ে তার দুই ছেলে রয়েছে। টাকলার আরও দাবি, ভারত কোনওদিনও দাউদকে এদেশে ফেরত আনতে পারবে না।