নারীবিদ্বেষী মন্তব্য করে শেষে ঢোঁক গিললেন ফারুক আবদুল্লা
বিচারপতি অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে শুক্রবার সকালে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চান সাংবাদিকরা। সংসদ ভবনের বাইরে হালকা চালে ফারুক আবদুল্লা বলেন, "আজকাল পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়ে পড়েছে। আমি তো মেয়েদের সঙ্গে কথা বলতেও ভয় পাচ্ছি। এমনকী, আমার সহকারীর পদে কোনও মেয়েকে আমি নিয়োগ করতে চাই না। কী জানি, যদি কোনও দিন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে! তখন তো জেলে যেতে হবে।" আপনি কি তা হলে মহিলাদেরই কাঠগড়ায় তুলছেন? তৎক্ষণাৎ তাঁর দ্রুত জবাব, "আমি মেয়েদের নয়, দোষ দেব সমাজকে। হঠাৎ করে ধর্ষণের ঘটনা চারদিকে বেড়ে গিয়েছে। কোথাও একটা দাঁড়ি টানা দরকার।"
টিভিতে ফারুক আবদুল্লার এই কথা প্রচারিত হওয়ার পরই ধেয়ে আসে নিন্দাবাণ। কংগ্রেস জানায়, এটা তাঁর ব্যক্তিগত মন্তব্য। এর কড়া নিন্দা করছে দল। অম্বিকা সোনি বলেন, "ওঁর মতো প্রবীণ মানুষের কাছ থেকে আমি এটা আশা করিনি।" বিজেপি-ও ছেড়ে কথা বলেনি ফারুক আবদুল্লাকে। দলীয় নেত্রী স্মৃতি ইরানি বলেছেন, "এমন একজন বয়স্ক নেতার এই মন্তব্য খুব খুব নিন্দনীয়।" তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন বলেন, "ওঁর নিজের মেয়ে আছে। তারপরও কী করে বললেন এ কথা? জননেতাদের কাছ থেকে আরও সংবেদনশীলতা প্রত্যাশিত।" প্রাক্তন আইপিএস কিরণ বেদীর মন্তব্য, "যখন কোনও পুরুষ বলে যে, তিনি মেয়েদের সঙ্গে কথা বলবেন না বা মহিলা সহকারী রাখবেন না, তখন বুঝতে হবে নিজেই নিজেদের কাঠগড়ায় তুলছে।"
নিন্দার ঝড় প্রশমিত করতে প্রথমে আসরে নামেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তিনি টুইট করে বলেন, "আমি নিশ্চিত, নারীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে বাবা তাচ্ছিল্য করেননি...।" শেষে বিকেলের দিকে ফারুক আবদুল্লা প্রকাশ্যে বলেন, "আসলে আমার মন্তব্যের অপব্যাখ্যা করায় পরিস্থিতি এতটা জটিল হয়েছে। তবুও আমার কথায় যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, তা হলে আমি দুঃখিত।"