মমতাকে শুভেচ্ছা জানালেও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে না ফারুক আবদুল্লা'র! কেন জানেন?
সামনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্রমশ চড়ছে উত্তেজনার পারদ। বিজেপির কাছে এই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন বড় চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে লোকসভার আগে বিজেপিকে চাপে রাখতে মরিয়া বিরোধী শক্তিগুলি। আর সেই লক্ষ্যেই গত কয়
সামনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্রমশ চড়ছে উত্তেজনার পারদ। বিজেপির কাছে এই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন বড় চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে লোকসভার আগে বিজেপিকে চাপে রাখতে মরিয়া বিরোধী শক্তিগুলি। আর সেই লক্ষ্যেই গত কয়েকদিন আগে দিল্লি উড়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এমনকি সমস্ত বিরোধী শক্তিগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসারও চেষ্টা করেন। তিনি। আর সেখানেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থী হিসাবে ফারুক আবদুল্লা এবং গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর নাম প্রস্তাব হিসাবে রাখা হয়। কিন্তু সেখানেও কার্যত ধাক্কা। প্রার্থী হিসাবে লড়তে রাজি নন ন্যাশানাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা।
আর তা জানিয়ে একটি বিবৃতিও দিয়েছেন এই নেতা। যেখানে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি লড়াই করতে রাজি নয়। তবে কেন তিনি চাননা লড়াই করতে সে বিষয়ে ব্যাখ্যও দিয়েছেন এনসি সুপ্রিমো।
Dr Farooq Abdullah's Statement regarding President election. pic.twitter.com/0rrwnBuqeI
— JKNC (@JKNC_) June 18, 2022
তিনি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে কংগ্রেস একটা গুরুত্বপূর্ণ মোড় দিয়ে যাচ্ছে। আর এই অনিশ্চিত সময়ে তাঁর প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ফারুক আবদুল্লা। অর্থাৎ রাজনীতিতেই যে তিনি আপাতত থাকতে চান সেটি তাঁর বার্তায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। তবে ফারুকসাহেব জানিয়েছেন, আমার আগে অনেক সক্রিয় রাজনীতিবিদ রয়েছেন।
তবে তিনি জম্মু-কাশ্মীর তো বটেই, দেশের সেবার জন্যে নিজেকে নিয়োজিত করতে চান বলেও জানিয়েছেন বার্তায়। তবে তাঁর নাম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে সামনে আনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ফারুক আবদুল্লা। উল্লেখ্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থী হিসাবে প্রথমে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের নাম সামনে আনা হয়।
কিন্তু প্রথম থেকেই রজি ছিলেন না তিনি। এমনকি বিরোধীদের বৈঠকে ফের শরদ পাওয়ারের নাম তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বৈঠকেই হাত নেড়ে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি লড়াই করবেন না। যা বিরোধী ঐক্যবদ্ধে বড়সড় ধাক্কা হিসাবেই মনে করা হচ্ছিল। আর এই অবস্থায় ফারুক আবদুল্লাহ সরে দাঁড়ানো যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে শিবসেনা। শক্তিশালী প্রার্থী হিসাবে কাউকে বেছে না নেওয়ার জন্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় তাঁরা।
তাঁদের মুখপত্রে স্পষ্ট জানায়, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেই বিরোধীরা যদি শক্তিশালী প্রার্থী দিতে না পারে তাহলে আগামী লোকসভায় কীভাবে দেশকে শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রী দেবে? আর এই সমালোচনার পরেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে বিবৃতি দিতে সরে দাঁড়ালেন কাশ্মীরের এই নেতা। যদিও এখনও বিরোধীদের তরফে এই বিষয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করেননি। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই বিষয়ে স্পিকটি নট রয়েছেন।