সেপ্টেম্বরেই কাশ্মীরে অ-বিজেপি দলগুলিকে একজোট করার ডাক ফারুক আবদুল্লাহর
সামনেই জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের (Assembly Election) আগে নির্বাচন কমিশনের সংশোধিত (Election Commission) ভোটার তালিকায় অ-স্থানীয় ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি জোরদার হচ্ছে।
Jammu-Kashmir All Party Meeting: সামনেই জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের (Assembly Election) আগে নির্বাচন কমিশনের সংশোধিত (Election Commission) ভোটার তালিকায় অ-স্থানীয় ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি জোরদার হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত ঘিরেই ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে।
আর সেদিকে তাকিয়েই সর্বদল (All Party Meeting) বৈঠক ডাকেন ন্যাশানাল কনফারেন্স (National Conference) সুপ্রিমো। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।
ন্যাশানাল কনফারেন্স সুপ্রিমো ফারুখ আবদুল্লাহ তাঁর বাড়িতেই (National Conference President Farooq Abdullah) এই বৈঠক ডাকেন। এনসি নেতারা ছাড়াও, পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি) প্রধান মেহবুবা মুফতি, কংগ্রেসের জম্মু ও কাশ্মীর ইউনিটের সভাপতি ভিকার রসুল, কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্কসবাদী) নেতা এম.ওয়াই উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তারগামি ও শিবসেনার নেতারাও অংশ নেন বলেও জানা যাচ্ছে।
বলে রাখা প্রয়োজন, নির্বাচন কমিশন জম্মু-কাশ্মীরে স্থায়ী ভাবে বসবাসকারী ভিন রাজ্যের ছাত্র, শ্রমিক এবং চাকুরীজীবীদের ভোট তালিকায় যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর তা নিয়েই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। আর এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আজ ন্যাশানাল কনফারেন্স সুপ্রিমো এই সর্বদল বৈঠক করে।
আর এই সর্বদল বৈঠকেই ন্যাশানাল কনফারেন্স সুপ্রিমো ফারুখ আবদুল্লাহ বলেন, ''আমরা জাতীয় স্তরের সমস্ত দলকে সেপ্টেম্বর মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাব এবং তাদের কাছে আমাদের সমস্যা তুলে ধরব।" কার্যত লোকসভা বৈঠকের আগে ফের একবার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে বৈঠকের সম্ভাবনা।
যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে প্রশাসন আমাদের চিন্তাকে কোনও ভাবে গ্রাহ্য করছে না বলেও অভিযোগ ন্যাশানাল কনফারেন্স দলের নেতাদের। কার্যত এই অভিযোগে সহমত হয়েছেন পিডিপি সহ সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি।
তাদের দাবি কমিশন স্পষ্ট ভাবে জানাচ্ছে না জম্মু ও কাশ্মীরে সাধারণত বসবাসকারী বহিরাগতদের ভোটার হিসাবে রেজিস্টার করার অনুমতি দেওয়া হবে কি না। আর তা স্পষ্ট কয়রা হচ্ছে না বলেই এই সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে দাবি রাজনৈতিক দলগুলির। ফলে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা থাকার কারণেই একাধিক প্রশ্ন উঠছে বলে দাবি সে রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলির। তবে এই সর্বদল বৈঠক ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চর্চা।
ফারুক আবদুল্লাহর নেতৃত্বে ডাকা এই সর্বদলীয় বৈঠকে আপত্তি জানিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। পালটা বিজেপির তরফে ও একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। মূলত রণকৌশল তৈরি করতেই এই বৈঠক বলে জানা যাচ্ছে। ফলে কাশ্মীরে ভোটের প্রস্তুতি শুরু হতেই ক্রমশ চড়ছে রাজনৈতিক তরজা।
গরু পাচার নিয়ে দায়ের জনস্বার্থ মামলায় অমিত শাহের নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশ