আন্দোলনের জয় উদযাপনে ভিক্ট্রি মার্চ, ১৫ মাস পরে আজ ফের পথে নামছেন কৃষকরা
আন্দোলনের জয় উদযাপনে ভিক্ট্রি মার্চ, ১৫ মাস পরে আজ ফের পথে নামছেন কৃষকরা
কৃষক আন্দোলন সফল। কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিয়েছে মোদী সরকার। সেই জয় উদযাপনে আজ ভিক্ট্রি মার্চ করবেন কৃষকরা। গত পরশু অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই কৃষকা আনুষ্ঠানিকভাবে আন্দোলন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করে। প্রায় ১৫ মাস ধরে আন্দোলন চলার পর তাঁরা আন্দোন প্রত্যাহার করে নেন। আগেই এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। তাঁরা জানিয়েছিলেন সিঙ্ঘু, টিরকি এবং গাজিপুর সীমানা থেকে আন্দোলন রত কৃষকরা ভিক্ট্রি মার্চ করতে করতে বাড়ি ফিরবে।
আন্দোলন শেষ
১৫ মাস ধরে টানা দিল্লি সীমানায় আন্দোলন চালিেয় গিয়েছেন কৃষকরা। কেউ তাঁবুতে রাত কাটিয়েছেন কেউ ট্রাক্টরে। আবার কেই খোলা আকাশের নীচেই থেকেছেন প্রতিবাদে অনড়। শীতের কনকনে ঠান্ডা, বর্ষার তুমুল বৃষ্টি, ঝড়, গ্রীষ্মের প্রখর রোদ, তাপপ্রবাহ কোনও কিছুই দমােত পারেনি তাঁদের জেদকে। নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল থেকেই হাজারে হাজারে কৃষক আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন মোদী সরকারের কৃষি আইনের প্রতিবাদে। এক ২ দিন নয় টানা ১ বছর ধরে আন্দোলন করেছেন তাঁরা। একনিষ্ঠ আন্দোলনে অবশেষে লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। গত পরশু আনুষ্ঠানিক ভাবে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছে কৃষকরা।
ঘরে ফেরার পালা
আন্দোলনে ইতি টেনেছেন কৃষকরা। আজই তাঁরা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘরে ফিরে যাবেন। মক্ত হবে দিল্লির সীমানা। গত ১৫ মাস ধরে গাজিপুর, টিকরি, সাঙ্গু সীমানায় অবস্থান বিক্ষোভ করছিেলন তাঁরা। তাবু খাটিয়ে চলছিল তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ। মঞ্চও তৈরি হয়েছি সেখানে। মোদী সরকার কৃষি আইন বাতিল করার পরেও আন্দোলন জারি রেখেছিলেন তাঁরা। তাঁদের দাবি ছিল যতক্ষণ না মোদী সরকার কাগজে কলমে কৃষি আইন বাতিল করছে ততদিন তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন না বলে জানিয়েছিলেন। শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁদের অনুরোধ করেন আন্দোলন প্রত্যাহার করার। এবং শেষ পর্যন্ত তাঁরা সেটা মেনে নেন এবং আন্দোলন প্রত্যাহার করেন।
ভিক্ট্রি মার্চ
১৫ মাসের আন্দোলন সফল হয়েছে। তাঁরা ঘরে ফিরবেন তাঁরা। জয় হয়েছে তাঁদের আন্দোলনের শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছেন তাঁরা। সেই জয় উদযাপনেই আজ ভিক্ট্রি মার্চ করতে করতে বাড়ি ফিরবেন কৃষকরা। গত পরশুই এই কর্মসূিচর কথা ঘোষণা করেছিল সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। সেই মত আজ এই কর্মসূচি করবেন কৃষকরা। কৃষি আইন বাতিলের সাফল্যের কারণেই এই ভিক্ট্রি মার্চের আয়োজন বলে জানানো হয়েছিল সংগঠনের পক্ষ থেকে। কৃষক আন্দোলনের সময় যাঁরা মারা িগয়েছেন তাঁদের স্মৃিতর উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানিয়েই হবে এই ভিক্ট্রি মার্চ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ১৫ মাস ধরে চলা কৃষক আন্দোলনে ৭০০ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছিল। যদিও মোদী সরকার দাবি করেছে কোনও কৃষকের মৃত্যু হয়নি এই আন্দোলনে।
কৃষি আইন বাতিল
ঠিক ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে কৃষি আইন বাতিলের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুরুনানক জয়ন্তীর শুভ দিনে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। তারপরেই লোকসভার শীতকালীন অধিবেশন শুরু হতেই তড়ি ঘড়ি দুই কক্ষে কৃষি আইন বাতিলের প্রস্তাব পাস করানো হয়। তারপরেই পাঠানো হয়েছে সেটি রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের জন্য। পুরোটাই ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।