সুপ্রিমকোর্টের কমিটির উপর ভরসা নেই, সংগঠনেও চিড়! বিলম্বিত বৈঠকে কী করবেন কৃষকরা?
কৃষি সংগঠনের মধ্যে হালকা ফাটল দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় একদিন পিছিয়ে গেল কেন্দ্র-কৃষক বৈঠক। কেন্দ্রের তিনটি নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত কৃষকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কেন্দ্রের দশম দফার আলোচনা হবে কাল। কেন্দ্র জানিয়েছে, উভয় পক্ষই সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে চায়, তবে কিছুটা দেরি হচ্ছে। এদিকে কৃষক সংগঠনগুলির মধ্যেও অন্দোলনে রাজনৈতিক রঙ লাগানো নিয়ে মনোমালিন্য দেখা যায়।
কৃষক-কেন্দ্র বৈঠক পিছিয়ে যায়
নতুন কৃষি আইন কৃষকদের স্বার্থেই আনা হয়েছে, এমনটা দাবি করে সরকারের তরফে বলা হয়েছে, যখনই ভালো জিনিস বা ব্যবস্থা নেওয়া হয় তখনই বাধা আসে এবং কৃষক নেতারা তাঁদের নিজস্ব সমাধান চাইছেন। তাই আরও বেশি সময় লাগছে। কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'কৃষক ইউনিয়নগুলির সঙ্গে ২০ জানুয়ারি দুপুর দুটোয় বিজ্ঞান ভবনে বৈঠকে বসবে সরকার।'
সিঙ্ঘু সীমন্তে পৌঁছাল দিল্লি ও উত্তর প্রদেশ পুলিশ
এদিকে, দিল্লি-হরিয়ানার সিঙ্ঘু সীমন্তে পৌঁছাল দিল্লি ও উত্তর প্রদেশ পুলিশ। ২১ জানুয়ারি আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট গঠিত কমিটির প্রথম বৈঠক চলছে। এদিকে বিকেইউ নেতা রাকেশ টিকাইত বলেছেন, 'আমরা এই কমিটির সঙ্গে বৈঠক করব না।' এদিকে কেন্দ্রের তরফে শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদনে জানানো হয়েছিল যে আগামী ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন কৃষকদের প্রস্তাবিত ট্রাক্টর মিছিল বাতিল করে দেওয়া হোক। সেই প্রেক্ষিতে সোমবারই রায় শোনায় শীর্ষ আদালত।
ট্রাক্টর ব়্যালি নিয়ে কেন্দ্রের দাবি
এদিকে সোমবার একটি মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, দিল্লিতে ট্রাক্টর মিছিল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দিল্লি পুলিশ। বিষয়টির সঙ্গে যেহেতু আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে, তাই দিল্লি পুলিশের হাতে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলের অনুমতির ভার ছেড়ে দেয় সুপ্রিমকোর্ট। দিল্লি পুলিশের মাধ্যমে করা ওই আবেদনে কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে এমন একটি মিছিল করার অনুমতি দিলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে, এতে দেশের সম্মান নষ্ট হবে৷ কেন্দ্রের বক্তব্য, প্রতিবাদ অধিকারের বলে বিশ্বের দরবারে দেশের সম্মান নষ্ট করা উচিত নয়৷