কৃষক গর্জনে অবরুদ্ধ দিল্লি, মন্দার বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর প্রস্তাব ফিরিয়ে আগেই ফিরিয়ে দিয়েছিল কৃষক সংগঠনগুলি। জানিয়ে দিয়েছিল, তারা বুরারিতে যাবে না। উল্টে দিল্লির পাঁচটি মূল প্রবেশপথ অবরোধ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। এরই মাঝে গতকাল রাতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বাড়িতে হাই ভোল্টেজ বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। তবে তাতেও কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। পরিস্থিতির সুরাহা কবে হবে, তাও জানানেই কারোর।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি
এরই মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির জেরে আরও চাপে পড়তে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। মন্দার মাঝেই এবার বাজারে দাম বাড়ছে আলু-পেঁয়াজ থেকে সর্ষে-বাদাম তেলের। বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম কমার কোনও লক্ষণই নেই। অক্টোবরে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার ৭.৬১ শতাংশে পৌঁছেছিল। এই পরিস্থিতিতে কৃষক আন্দোলনের জেরে বছর শেষে যে মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে তা বলাই বাহুল্য।
কৃষি আইনের বিরুদ্ধে 'দিল্লি চলো'-র ডাক
কয়েকদিন আগে নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে 'দিল্লি চলো'-র ডাক দিয়েছিল একাধিক কৃষক সংগঠন। কিন্তু দিল্লিতে ঢোকার আগেই তাদের আটকানোর চেষ্টা করা হয়। ফলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্ত। আন্দোলনকারী কৃষকদের উপর পুলিশি অত্যাচারেরও অভিযোগ ওঠে। হরিয়ানার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তোলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর শর্ত
এরই মাঝে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাদের শর্ত দেন, সরকার নির্ধারিত বুরারিতে যদি তারা বিক্ষোভ দেখায় তাহলে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তিনি। তাদের সমস্যা ও দাবির কথা শোনা হবে বলেও আশ্বাস দেন। আর তাঁর এই প্রস্তাব খতিয়ে দেখতেই আলোচনায় বসে বিক্ষোভরত কৃষক সংগঠনগুলি।
দিল্লির পাঁচটি মূল প্রবেশপথ অবরোধ
আলোচনা শেষে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন ক্রান্তিকারীর প্রেসিডেন্ট সুরজিৎ এস ফুল বলেন, 'খোলা কয়েদখানায় যাওয়ার বদলে আমরা দিল্লির পাঁচটি মূল প্রবেশপথ অবরোধ করে ঘেরাওয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের সঙ্গে চার মাসের রেশন সামগ্রী রয়েছে। তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই । আমাদের অপারেশন কমিটি সবকিছু নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।'
কী বলছেন কৃষকরা?
তিনি বলেন, কৃষকরা বুরারিতে কিছুতেই যাবেন না কারণ এটা খোলা কয়েদখানা ছাড়া কিছুই নয় বলে তাঁদের কাছে প্রমাণ রয়েছে। এদিকে আলোচনার জন্য অমিত শাহর শর্ত দেওয়াকে তাঁরা কৃষকদের অপমান হিসেবেই দেখছেন। এদিকে এরই মাঝে দিল্লি ঢোকার পাঁচট রাস্তা বন্ধ হওয়ায় রাজধানীতে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ঢুকতে পারছে না, যার জেরে জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফের টীকা প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে বৈঠকে মোদী, করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে শক্রিয়তা তুঙ্গে