কৃষকদের অনড় মনোভাবে ব্যর্থ হওয়ার পথে আলোচনা? ট্রাক্টর ব়্যালি নিয়ে ক্রমেই পারদ চড়ছে দিল্লিতে
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনে রাজধানীতে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলের ডাক নিয়ে ক্রমেই পারদ চড়ছিল বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই। এই পরিস্থিতিতে এদিন নবম দফার আলোচনা বসে কৃষক-কেন্দ্র। জানা গিয়েছে আজ বিজ্ঞান ভবনের আলোচনা শুরু হতেই কেন্দ্রের প্রস্তাবিত যাবতীয় সংশোধনী নাকচ করে দেন কৃষকরা। যার জেরে আজকের আলোচনার পরও কোনও সমাধান সূত্র পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে শুরু হল জল্পনা।
কৃষি আইনের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট
তিনটি কৃষি আইনের উপর ১২ জানুয়ারি স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর পাশাপাশি ওই আইন খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। শীর্ষ আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। যদিও যতদিন না আইন প্রত্যাহার করা হবে ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
'তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে'
এদিকে কৃষি আইন নিয়ে পর্যালোনা করার লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট যে কমিটি গঠন করেছে। সেই কমিটিতে রয়েছেন কৃষি অর্থনীতিবিদ অশোক গুলাটি, ডঃ প্রমোদ কুমার যোশি, অনিল ধানওয়াত ও বিএস মান৷ যদিও পরে মান পরে পদত্যাগ করেন এই কমিটি থেকে এই কমিটির সঙ্গে কৃষকদের সাহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে। যদিও এই কমিটি মানতে নারাজ কৃষক সংগঠনগুলি। তাদের দাবি, তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
কৃষক স্বার্থের সঙ্গে সমঝোতা নয়
এদিকে বৃহস্পতিবারই কৃষি আইন নিয়ে আলোচনার জন্য় সুপ্রিম কোর্ট গঠিত চার সদস্য়ের কমিটি থেকে পদত্য়াগ করেন ভূপিন্দর সিং মান। তিনি ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের সভাপতি। কৃষক স্বার্থের সঙ্গে তিনি সমঝোতা করতে পারবেন না বলেই কমিটি থেকে পদত্য়াগ করেছেন বলে জানান ভূপিন্দর সিং মান।
২৬ তারিখে যে দিল্লিতে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিল হবে?
সরকারের সঙ্গে কৃষক সংগঠনগুলির আলোচনার একদিন আগেই, এই সিদ্ধান্ত তিনি নিলেন। ফলে আবারও, কৃষি আইন নিয়ে সমাধান সূত্র বের করার বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের কাছে চলে গেল। এদিকে আজকের আলোচনা ব্যর্থ হলে ২৬ তারিখে যে দিল্লিতে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিল হবে, তা প্রায় একপ্রকার নিশ্চিত বলে ধরে নেওয়া যায়। সেই ক্ষেত্রে পুলিশি অনুমোদন পাওয়া না গেলে ফের বাধতে পারে ধুন্ধুমার।