দিল্লিতে ২৬ জানুয়ারির বিদ্রোহের জন্যে 'সৈনিক' ভর্তি নিচ্ছে কৃষক সংগঠনগুলি!
গতবছরের সেপ্টেম্বরে বাদল অধিবেশনে কেন্দ্রীয় সরকার নতুন তিনটি কৃষি আইন পাশ করায়। কৃষক সংগঠনগুলি ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের অভিযোগ, ওই আইন কৃষক বিরোধী। নভেম্বরের শেষে ৪০টি কৃষক সংগঠন ওই আইন প্রত্যাহারের দাবি তুলে আন্দোলন শুরু করে। প্রায় মাস দেড়েক ধরে তারা অবস্থান বিক্ষোভ করছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে তাদের আলোচনাও চলছে। যদিও সেই আলোচনায় কোনও সমাধানসূত্র এখনও বের হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ২৬ জানুয়ারি দিল্লি জুড়ে তীব্র আন্দোলনের ডাক দিয়েছে কৃষকরা।
ভর্তি অভিযান
২৬ তারিখ দিল্লি জুড়ে কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলনের জন্য স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ করছে কৃষকরা। জানা গিয়েছে এই প্রতিবাদে অংশ নিতে কয়েক হাজার যুবক ইতিমধ্যেই নিজেদের সম্মতি জানিয়েছে। বিগত বেশ কয়েক দিন ধরেই হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবের গ্রামে গ্রামে কৃষক সংগঠন এই আন্দোলনের জন্যে স্বেচ্ছাসেবক ভর্তি করেছে।
কৃষি আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্র
কৃষি আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্র৷ কৃষি আইন নিয়ে আদালতের মন্তব্যকে স্বাগত জানালেন সারা ভারত কিষাণ সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা। তিনি বলেন, 'আদালত কৃষি আইন রদ করার উপযুক্ত মনে করলে তা স্বাগত৷ রদ করার জন্য আমরা লড়াই করছি সাত মাস ধরে৷ কেন্দ্র কৃষক বিরোধী৷ আমরা আদালতের পর্যবেক্ষণ ভালোভাবে দেখি, তারপর এই নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ বিচার করব৷'
আত্মতুষ্টির জায়গা নেই
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার কৃষক বিরোধী হওয়ায় এর খেসারত দিতে হবে সরকারকে। এখনই আত্মতুষ্টির জায়গা নেই। সরকারকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে তারা কী করতে চায়। ইতিমধ্যেই কৃষক আন্দোলনের জেরে ব্যাহত হয়েছে পাঞ্জাব, হরিয়ানা সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের উৎপাদন। আদালত মন্তব্য করেছে প্রয়োজনে তারা কেন্দ্রীয় আইন রদ করতে পারে।
সংশয় প্রকাশ করেছেন হান্নান মোল্লা
আদালতের নির্দেশকে কতটা মান্যতা দিবে কেন্দ্রীয় সরকার, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন হান্নান মোল্লা। তবে আন্দোলন আপাতত চলবে। কৃষক বিরোধী কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষক নেতা হান্নান মোল্লা। এদিকে এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অধীর চৌধুরী কটাক্ষের সুরে বলেন, 'সরকার আটবার আলোচনা করেছে বটে, তবে ওদের ধারণা ছিল কৃষকরা ক্লান্ত হয়ে যাবেন এবং আন্দোলন তুলে নেবেন৷ কিন্তু ভারতের কৃষকরা শক্তি রাখেন, তাঁদের তেজ আছে৷'
আমরা চাই, এই আন্দোলন সফল হোক
'কৃষকদের আন্দোলনের ফল, সুপ্রিম কোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হল৷ আমরা চাই, এই আন্দোলন সফল হোক৷' কৃষি আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র প্রশ্নের মুখে পড়ার পর প্রতিক্রিয়া অধীর চৌধুরীর৷ অধীর আরও বলেন, 'প্রথম থেকে আমরা কৃষি আইনের বিরোধিতা করেছি৷ ৬০ জনের বেশি কৃষক মারা গিয়েছেন৷ আজকে সুপ্রিম কোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হল কেন?'