'পাঁচিল নয়, সেতু গড়ে তুলুন', দিল্লির 'রণক্ষেত্র' নিয়ে মোদীকে কটাক্ষ রাহুল-প্রিয়াঙ্কার
কৃষকদের বিক্ষোভ ঠেকাতে দিল্লি পুলিশ যে প্রস্তুতি নিয়েছে তাকে কটাক্ষ করে কেন্দ্রকে একহাত নিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। সিংঘু-গাজিপুর-তিকরি সীমানায় যেভাবে কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে, রাস্তায় পেরেক পুঁতে বিপুল বাহিনী নিয়ে মোতায়েন করা হয়েছে, তার সমালোচনা করেছেন রাহুল। তাঁর দাবি, 'পাঁচিল নয়, সেতু গড়ে তুলুন।' এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন প্রিয়াঙ্কাও।
কৃষক বিক্ষোভ ঠেকাতে কার্যত যুদ্ধের আবহ তৈরি
দিল্লির সীমানাগুলিতে কৃষক বিক্ষোভ ঠেকাতে কার্যত যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছে। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা চত্বর। শুধু তাই নয়, বিক্ষোভরত কৃষকদের আটকাতে ব্যারিকেডের সামনে রাস্তায় সিমেন্ট দিয়ে পেরেক পুঁতে রাখা হয়েছে। ব্যারিকেডের উপরে দেওয়া হয়েছে কাঁটাতারের বেড়া। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গাজিপুর ও তিকরি সীমানা। নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে সোমবার রাতেই এলাকা পরিদর্শনে যান দিল্লির নগরপাল এসএন শ্রীবাস্তব।
কৃষকদের সঙ্গেও যুদ্ধ?
পুলিশের এই আগাম ব্যবস্থার প্রতিটি ছবি তুলে ধরে মঙ্গলবার টুইট করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তিনি তাঁর পোস্টে ব্যবহার করেছেন মাত্র চারটি শব্দ। 'বিল্ড ব্রিজেস, নট ওয়ালস।' অর্থাত্ সেতু নয়, প্রাচীর তৈরি করুন। এদিকে দিল্লি পুলিশের এই তত্পরতার নিন্দা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরাও। দিল্লি-হরিয়ানা সীমানার নিরাপত্তার বেড়াজালের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন তিনি। ক্যাপশনে লিখেছেন, 'প্রধানমন্ত্রীজি, আমাদের কৃষকদের সঙ্গেও যুদ্ধ?'
রাজ্যসভায় ধুন্ধুমার
এদিকে বাজেটের পরদিন রাজ্যসভার অধিবেশনে অন্য সব কাজ সরিয়ে রেখে নয়া কৃষি আইনের বিরোধিতায় কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়ে নোটিস দেন কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আজাদ, তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় ও ডিএমকে সাংসদ তিরুচি শিবা। একই দাবি জানিয়ে নোটিস দেন বিএসপি সাংসদ অশোক সিদ্ধার্থ, আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা, সিপিআই সাংসদ বিনয় বিশ্বম ও সিপিআইএম সাংসদ এলামারাম করিম।
মুলতুবি হয়ে যায় রাজ্যসভা
তবে এই দাবি খারিজ করে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। নাইডু কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়ার পরই তুমুল শোরগোল শুরু হয় রাজ্যসভায়। ওয়াক আউট করেন বিরোধী দলের সাংসদরা। হই-হট্টগোলের জেরে রাজ্যসভা সকাল ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয়।