মোদী সরকারকে ঝুঁকিয়ে ছাড়ব! প্রত্যয়ী কৃষকদের হুঙ্কার দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে দাঁড়িয়ে
একের পর এক বৈঠক। কিন্তু, কোনও রফাসূত্র এখনও মেলেনি। আজ প্রায় কুড়ি দিন হয়ে গেল রাজধানীর বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকরা। দাবি, বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হোক। কৃষকদের এই আন্দোলনকে সামাল দিতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে কেন্দ্রকে। তবে কেন্দ্রও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে।
শীতকালীন দিল্লিতে আরও দৃঢ় হচ্ছে কৃষক আন্দোলন
একদিকে যখন কেন্দ্রের সাফ বক্তব্য, আলোচনার ভিত্তিতে সংশোধনের পথ খোলা। তবে আলোচনার পথ খুলে রাখলেও কৃষি আইন একেবারে যে প্রত্যাহার করা হবে না, তা সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মোদী সরকারের তরফে। এহেন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে শীতকালীন দিল্লিতে আরও দৃঢ় হচ্ছে কৃষক আন্দোলন। আরও দৃঢ় হচ্ছে কৃষকদের জেদ।
কৃষি আইন বাতিল করিয়ে ছাড়ব
এরই মাঝে মঙ্গলবার সিঙ্ঘু সীমান্তে কৃষক নেতা জগজিৎ ডালেওয়াল বলেন, 'সরকার বলছে এই আইনগুলি বাতিল করবে না। আমরা বলছি আমরা আপনাদের বাতিল করিয়ে ছাড়ব। এখন এই লড়াই এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে আমরা যাই হোক না কেন জয়ের জন্য দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।' তিনি আরও বলেন, 'আমরা আলোচনা থেকে পালাচ্ছি না, তবে সরকারকে আমাদের দাবির প্রতি মনোযোগী হতে হবে এবং বাস্তব প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।'
এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি সমাধানসূত্র
এদিকে পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় প্রতিবাদে সামিল হওয়া চার কৃষক প্রাণ হারান মঙ্গলবার। প্রতিবাদ করা কালীন এক কৃষক মারা যান দিল্লির সিঙ্ঘু সীমানাতেই। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত চার জন কৃষক সোনিপত-সিঙ্ঘু সীমান্তে প্রাণ হারালেন। এদিকে পাঁচ দফা বৈঠকের পরও এই সমস্যার কোনও সমাধানসূত্র এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
কৃষকদের গলাতে ক্রমেই জোর বাড়ছে
একের পর এক কৃষকের আন্দোলনরত অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসছে। রাজধানীর বাইরে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ২০ জন কৃষকের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র সোনিপত-সিঙ্ঘু এলাকায় চারজন। এই অবস্থায় ২০ ডিসেম্বর মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে কৃষক সংগঠনগুলি। তবে এরই মধ্যে কৃষকদের গলাতে ক্রমেই জোর বাড়ছে।