কৃষি আইনের প্রতিবাদে গর্জাচ্ছে ভারত, দেশজুড়ে চাক্কা জ্যামের ডাক প্রতিবাদী কৃষকদের
কৃষি আইনের প্রতিবাদে ৬ ফেব্রুয়ারি চাক্কা জ্যাম কর্মসূচির ডাক কৃষকদের
কৃষি আইনের প্রতিবাদে ফুঁসছে গোটা দেশ। এদিকে আন্দোলনকারীদের দমাতে ইতিমধ্যেই রণংদেহি মেজাজে মাঠে নেমেছে দিল্লি পুলিশ। কাঁটাতার, পেরেক, কংক্রিটের পাঁচিল সহ তিন থেকে চার স্তরীয় ব্যারিকেড করা হয়েছে সিঙ্ঘু, গাজীপুর, টিকরি সীমান্ত। এদিকে এরইমাঝে আগামীকাল ৬ ফেব্রুয়ারি দেশজোড়া চাক্কা জ্যাম কর্মসূচির ডাক দিয়েছে কৃষকরা। যা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা রাজনৈতিক মহলে।
দশ দফা আলোচনার পরেও বেরোয়নি সমাধানসূত্র
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিনই ৭২ দিনে পা দিল দিল্লিক কৃষক আন্দোলন। এদিকে কেন্দ্র-কৃষক প্রায় দশম দফা আলোচনার পরেই বেরোয়নি কোনও সমাধানসূত্র। সংষ্কার নিয়ে খানিক ভাবনা চিন্তা করলেও কোনোভাবেই নয়া তিনটি কৃষি আইন বাতিল করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। অন্যদিকে কৃষি আইন বাতিল না হলে কোনোভাবেই আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরবেন না বলেও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন কৃষক নেতারা।
অবরুদ্ধ হতে চলেছে দেশের সমস্ত মহাসড়ক
এমতাবস্থায় আগামীকালের চাক্কা জ্যাম কর্মসূচিকে ঘিরে যে উত্তেজনার পারদ চড়বে তা বলাই বাহুল্য। তবে কৃষক নেতারা সাফ জানিয়েছেন ভারত বনধ নয়, আগামীকাল হচ্ছে রাস্তা বনধ। দেশের সমস্ত মূল সড়কগুলি ওই দিন নির্দিষ্ট সময়ে অবরোধ করা হবে। দেশজুড়ে জাতীয় এবং রাজ্য মহাসড়কগুলি অবরোধ করা হবে। আন্দোলনের আঁচ পৌঁছে দেওয়া হবে দেশের প্রতিটা কোনায় কোনায়।
চাক্কা জ্যাম থেকে নিস্তার দিল্লির
এদিকে ১ ফেব্রুয়ারি 'চাক্কা জ্যাম'-র কথা ঘোষণা করেন স্বরাজ ভারতের প্রধান যোগেন্দ্র যাদব এবং ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা, বলবীর সিং রাজেওয়ালও। তবে এবারের চাক্কা জ্যামের আওতা থেকে রাজধানী দিল্লিকে বাদ রাখা হচ্ছে বলে গতকালই জানান ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের অন্যতম প্রধান নেতা রাকেশ টিকাইত।
কতক্ষণ চলবে প্রতিবাদ ?
আগামীকাল ১২ টা থেকে দুপুর তিনটার মধ্যে রাস্তা অবরোধ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লা কাণ্ডের অরাজকতার স্মৃতির কথা স্মরণ করেই বর্তমানে দিল্লিতে প্রতিবাদের রাস্তায় হাঁটছেন না কৃষকরা। এমনটাই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। তবে কৃষি আইনের পাশাপাশি দিল্লি সীমান্তে ইন্টারনেট বন্ধ, জলের সংযোগ কেটে দেওয়া, সদ্য পেশ হওয়া বাজেটে কৃষকদের বঞ্চিত করার বিষয়েও আগামীকালের কর্মসূচিতে সরব হতে চলেছেন প্রতিবাদীরা।
নবান্ন দখলে রাখতে নেতাজি শরণে মমতা! বাজেটে একের পর এক ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর