দিল্লির কৃষক আন্দোলন, কেন্দ্রের অনড় মনোভাবের জেরে তিন মাসে প্রাণ হারালেন ২৪৮ জন কৃষক
দিল্লির কৃষক আন্দোলন, তিন মাসে প্রাণ হারালেন ২৪৮ জন কৃষক
দিল্লির কৃষক আন্দোলন প্রায় তিন মাসের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেলেও এখনও কৃষি আইন বাতিলে নারাজ কেন্দ্র। অন্যদিকে নয়া তিন কৃষি আইন বাতিল না হলে কোনোভাবেই আন্দোলন ছেড়ে যাচ্ছেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দিল্লির প্রতিবাদী কৃষকরা। এদিকে সোমবারই ৮৭ দিনে পা দিল দিল্লির কৃষক আন্দোলন। যদিও একটানা তিন মাস ধরে চালা আন্দোলনের জেরে এখনও পর্যন্ত ২৪৮ জন প্রতিবাদী কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
পাঞ্জাবের কৃষকদেরই সর্বাধিক মৃত্যু
এদিনই এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা বা এসকেএম।আর এই তথ্য সামনে আসতেই নতুন করে যে চাপের মুখে পড়বে কেন্দ্র তা বলাই বাহুল্য। এদিকে সূত্র বলছে এখনও পর্যন্ত মোট মৃত কৃষকদের সিংহভাগই পাঞ্জাবের বাসিন্দা। মৃতদের মধ্যে শুধুমাত্র পাঞ্জাব থেকেই রয়েছেন ২০২ জন কৃষক। এই তথ্য সামনে আসতেই প্রবল আলোড়ন শুরু হয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে।
পাঞ্জাবের পরেই হরিয়ানার কৃষকদের সর্বাধিক মৃত্যু
অন্যদিকে পাঞ্জাবের পাশাপাশি হরিয়ানার ২৬ জন প্রতিবাদী কৃষক মারা গিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। ৬ জন উত্তরপ্রদেশের।পাশাপশি মধ্যপ্রদেশ,মহারাষ্ট্র,তামিলনাড়ু ও উত্তরাখণ্ডের একজন করে কৃষক মারা গিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এরমধ্যে বেশিরভাগই মৃত্যু আচমকা হার্ট অ্যাটাকের কারণে হয়েছে বলে খবর। ডিসেম্বর, জানুয়ারিতে দিল্লির প্রবল ঠাণ্ডায় খোলা আকাশের নীচে একটানা আন্দোলন চালানোর কারণেও প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে, এমনটাই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।
প্রতি সপ্তাহে ৫ জন কৃষকের আত্মহত্যা
সূত্রের খবর, ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তথ্য বর্তমানে সামনে আনা হয়েছে। এদিকে কৃষক আন্দোলনের আবহেই আরও একটি চমকপ্রদ তথ্য সামনে আনছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। তাদের দাবি কৃষক আন্দোলনের আগেই গত বছর শুধুমাত্র পাঞ্জাবেই আত্মহত্যা করেছে ২৬১ জন কৃষক। অন্যদিকে গোটা দেশে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৫ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন বলেও জানা যাচ্ছে।
আন্দোলনের আবহেই সপ্তাহে প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন কৃষক
অন্যদিকে নভেম্বরের শেষ থেকে শুরু হওয়া কৃষক আন্দোলনের জের পাঞ্জাবেরই যে সর্বাধিক কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন তা আগেই সামনে এসেছে। কিন্তু তথ্য বলছে গত তিন মাসের একটানা আন্দোলনের দিকে চোখ রাখলে দেখা যাবে কেন্দ্রের আনড় মনোভাবের কাছে সপ্তাহে গড়ে পাঞ্জাবের ১৬ জন কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন। অন্যদিকে জানুয়ারিতে গোটা দিল্লিতে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ার পরেই দিল্লি সীমান্তে প্রাণ হারান প্রায় ১২০ জন কৃষক। তার মধ্যে ১০৮ জনই পাঞ্জাবের।
এবার 'বেসুরো' ঘাসফুল শিবিরের অপর এক বিধায়ক, ২০২১-এর লক্ষ্যে জল্পনা তুঙ্গে