মোদী সরকারের সামনে কোন 'দাবি' প্রতিবাদী কৃষকদের! কীভাবে কাটবে অচলাবস্থা?
কেন্দ্র-কৃষকদের মধ্যে আলোচনার ক্ষেত্রে বর্তমানে অচলাবস্থা চলছে। এই পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে কৃষক সংগঠন। এছাড়া ভারতীয় কৃষক ইউনিয়ন কৃষকদের জিও সিম পরিত্যাগ করার দাবিও তুলেছে। এরই মধ্যে এবার কৃষকরা ২৬টি কৃষি পণ্যের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণের দাবি রেখেছে কেন্দ্রের কাছে।
তিনটি নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে মামলা
এদিকে কেন্দ্রের তিনটি নয়া কৃষি আইনের বিরোধিতা করে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল ভারতীয় কিষান সংগঠন (ভানু)। শীর্ষ আদালতে কৃষকরা জানিয়েছেন, নয়া কৃষি আইনের কারণে লোভী পুঁজিপতিদের সামনে দুর্বল হয়ে পড়বেন তাঁরা। কৃষকরা মূল যে তিনটি আইনের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সেগুলি হল- ফারমার্স এগ্রিমেন্ট অন প্রাইস অ্য়াসুরেন্স অ্য়ান্ড ফার্ম সার্ভিস অ্য়াক্ট ২০২০, ফারমার্স প্রোডিউস ট্রেড অ্য়ান্ড কমার্স অ্য়াক্ট ২০২০ এবং এসেনশিয়াল কমোডিটিস (সংশোধনী) অ্য়াক্ট ২০২০।
কৃষিকে বাণিজ্যিকরণ করার চেষ্টা
ভারতীয় কিষান সংগঠন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে একাধিক আবেদন দাখিল করেছে। সেখানে আইনগুলিতে আদালতের হস্তক্ষেপের আবেদন করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই আইন কৃষিকে বাণিজ্যিকরণ করে দেবে। আইনজীবী এপি সিংয়ের সাহায্য়ে কৃষকরা এই আবেদন শীর্ষ আদালতে করেছেন।
কৃষকদের আর্থিক দিকটিকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়েছে
তিনি জানান, এই আইন সম্পূর্ণভাবে কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই পাশ করানো হয়েছে। এমনকী এই আইনে কৃষকদের আর্থিক দিকটিকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, একাধিক কৃষক সংগঠনের তরফে প্রতিনিধি সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে, সরকার তাঁদের সঙ্গে সমঝোতা করতে রাজি নয়।
একাধিক মামলা সুপ্রিম কোর্টে পড়ে রয়েছে
কৃষি আইন নিয়ে একাধিক মামলা সুপ্রিম কোর্টে পড়ে রয়েছে। যার মধ্য়ে অন্য়তম মামলাগুলি হল, ডিএমকে সাংসদ তিরুচি শিবা, আরজেডি-র রাজ্য়সভার সাংসদ মনোজ ঝা, ছত্তিশগড় কিষান কংগ্রেসের রাকেশ বৈষ্ণবের করা মামলা। সেই মামলাগুলির প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত গত ১২ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জবাব তলব করেছিল।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরাসরি 'বিদ্রোহ' বাংলার! রাজ্যের মুখ্য সচিবের চিঠি ঘিরে তুঙ্গে তরজা