দিল্লি চলো! কৃষক আন্দোলনের অলিন্দে দিল্লিতে কেন্দ্র বিরোধী শক্তির বল প্রদর্শন
কৃষি আইনের বিরুদ্ধে রাজধানীর রাজপথে কৃষক বিক্ষোভের ডাক। কংগ্রেস শাসিত পাঞ্জাব থেকে কয়েক হাজার কৃষক দিল্লি সীমান্তে ঘাঁটি গেড়েছিল বুধবার থেকেই। কেন্দ্রের আনা কৃষি আইনের বিরোধিতায় হাজার হাজার ট্র্যাক্টর নিয়ে দিল্লি অবরোধ করার প্রস্তুতি নিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। এরই মাঝে রাজধানীতে যাতে প্রতিবাদী কৃষকদের ঢুকতে না পারেন, তার বন্দোবস্ত করেছে দিল্লি পুলিশ।
কৃষকদের আটকাতে চেষ্টা চালিয়েছিল বিজেপির সরকার
এর আগে বিজেপি শাসিত হরিয়ানার মনোহর লাল খট্টরের সরকার পাঞ্জাবের সঙ্গে পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি রাজ্য সীমান্তে ব্যারিকেড, জল কামান নিয়েও প্রস্তুত বিজেপি সরকার। যদিও হরিয়ানা সরকার নিজ রাজ্য থেকেই কৃষকদের দিল্লিগামী হওয়া থেকে বিরত রাখতে পারেনি।
দিল্লির সীমানায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা
গুরুগ্রামে হরিয়ানা-দিল্লির সীমানায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশও কৃষকদের রাজধানীতে ঢুকতে না দিতে তৎপর হয়েছে। এর আগে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, পঞ্জাব ও কেরলের কৃষক সংগঠনগুলি রাজধানীতে প্রতিবাদ সভার জন্য পুলিশের অনুমতি চেয়েছিল। তবে সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। এদিকে ইতিমধ্যেই দিল্লির মেট্রো সার্ভিস বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়েছে।
আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি
এদিকে এদিন পশ্চিমবঙ্গে গ্রামীণ ধর্মঘটের ডাক দিয়ে রাজ্য ও জাতীয় সড়ক অবরোধ করার পরিকল্পনা করছে কৃষক ও খেতমজুরদের সংগঠন। কিন্তু করোনা অতিমারীর মধ্যে এমনিতেই আর্থিক দুর্দশায় থাকা আমজনতাকে এই ধর্মঘট আরও সংকটে ফেলতে পারে। তবে সরকার তাদের দাবি না মানলে এই আন্দোলন আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে বলে আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি।
২৭ নভেম্বর সংসদ অভিযান
২৭ নভেম্বর সংসদ অভিযানে যোগ দেওয়ার কথা কৃষক সংগঠনগুলির। তবে তাঁরা যাতে দলে দলে দিল্লি পর্যন্ত এসে পৌঁছাতে না পারেন, তার চেষ্টায় কসুর করছে না বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপি সরকারগুলি। এদিকে কৃষকরা নানা উপায়ে রাজধানীতে আসার চেষ্টা চালাচ্ছেন। জানা যায়, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশ থেকে গাড়ির কনভয় নিয়ে রওনা হয়েছেন কৃষকরা।
বিহারের ১৬ বামপন্থী বিধায়কও সামিল আন্দোলনে
এদিকে বিহারে সদ্যনির্বাচিত ১৬জন বামপন্থী বিধায়ক ২৬ তারিখে রাজ্য বিধানসভার সামনে বিক্ষোভ দেখাবেন। এদিকে ২৭ তারিখে কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাবেন কৃষকরা। এছাড়া তামিলনাডুর ৫০০টি স্থানে শ্রমিকশ্রেণির পাশে দাঁড়িয়ে রাস্তা রোকো এবং রেল অবরোধ করবেন কৃষকরা।