সরকারি চায়ে 'না', উল্টে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে লঙ্গরের জিলিপি খাওয়ার আমন্ত্রণ কৃষকদের
বিজেপির 'চায় পে চর্চা'-র মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রচারের কথা সর্বজনবিদিত। বিজেপির রাজনৈতিক বিজয়রথের নেপথ্যে রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর 'চাওয়ালা' তকমা। তবে সেই বিজেপি সরকারের চা খেতেই নারাজ আন্দোলনকারী কৃষকরা। উল্টে কৃষকদের তৈরি করা জিলিপি খাওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয় কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে।

দিল্লির সীমানায় ঘাঁটি গেড়ে অবস্থান বিক্ষোভ
প্রসঙ্গত, মঙ্গগলবার ৩৫টি কৃষক সংগঠনের সঙ্গে দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে বৈঠকে বসেছিল কেন্দ্র। সেই বৈঠকে কৃষকদের চা দেওয়া হলে তা খেতে অস্বীকার করেন কৃষকরা। উল্টে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রি নরেন্দ্র সিং তোমারকে তাঁদের লঙ্গরে গিয়ে জিলিপি খাওয়ার আমন্ত্রণ জানালেন। উল্লেখ্য, গত সাতদিন ধরে দিল্লির সীমানায় ঘাঁটি গেড়ে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন প্রতিবাদী কৃষকরা। সেখানেই লঙ্গরে রান্না করে সেখানেই রাত কাটাচ্ছেন তাঁরা।

জিলিপি খাওয়ার আমন্ত্রণ
জিলিপি খাওয়ার আমন্ত্রণ দিলেও, তাঁদের মনে যে জিলিপির প্যআঁচ নেই, তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন কৃষকরা। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, কৃষি আইন ফিরিয়ে নিতে হবে। কেন্দ্রের তরফে দেওয়া কমিটির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছেন কৃষকরা। এই পরিস্থিতিতে ৩ ডিসেম্বর ফের বৈঠকে বসতে চলেছে দুই কেন্দ্র এবং কৃষক গংগঠনগুলি।

অচলাবস্থা এখনও অব্যাহত
জানা গিয়েছে কৃষকরা মঙ্গলবারের বৈঠকে আশাহত কারণ তাঁরা ভেবেছিলেন যে কৃষকদের কষ্ট লাঘব করতে এবং এই পরিস্থিতি শান্ত করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং কোনও 'আউট অফ দ্য বক্স' সমাধান সূত্র নিয়ে আসবেন। তবে কৃষকদের মন ভেঙে সেই পুরোনো সুরাহার পথ বাতলে দিলেন তাঁরা। এর জেরে অচলাবস্থা এখনও অব্যাহত।

সরকারি চা খেতে অস্বীকার কৃষকদের
মঙ্গলবারের বৈঠকেই প্রথম ৯০ মিনিটের পর বিরতি ডাকা হয়। সেই সময় কৃষক নেতাদের চা পরিবেশন করা হলে তা খেতে তাঁরা অস্বীকার করেন। ততক্ষণে কেন্দ্রের তরফে এই আইনের ফলে কৃষকরা কীভাবে লাভবান হবেন, তা বোঝানোর আপ্রাণ প্রচেষ্টা হয়েছে মন্ত্রীদের তরফে। সরকারি চা না খেতে চেয়ে কৃষকরা উল্টে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তোমারকে তাঁদের লঙ্গরে আমন্ত্রণ জানান। কৃষক নেতারা সেখানে জিলিপি খাওয়াবেন বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানান।

কৃষক বিক্ষোভ সপ্তম দিনে পড়ল
এদিন দিল্লি সীমান্ত পয়েন্টে কৃষকদের দ্বারা বিক্ষোভ সপ্তম দিনে পড়ল। এর আগে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষক আন্দোলনের ষষ্ঠদিনে বন্ধ করা হয়েছিল রাজধানীর আরও তিনটি সীমানা। সতর্কতা মেনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দিল্লির সঙ্গে সংযুক্ত গুরগাঁও এবং ঝাঝর-বাহাদুরগড় বর্ডার। যার জন্য শহরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

এবার বঙ্গ রাজনীতির ক্রিজে নামবেন কলকাতার মন জয় করা প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক