কৃষি আইন প্রত্যাহার করলেই পাল্টা আন্দোলনের ডাক আরও এক কৃষক সংগঠনের! দিল্লি জুড়ে ধুন্ধুমার
কৃষক আন্দোলন ঘিরে হরিয়ানায় কার্যত রাজ্যসরকারের গদি টলমল হওয়ার জোগাড় ছিল। পরিস্থিতি নিয়ে সেখানে জোট সরকারের শরিক জেজেপি নেতা দুষ্মন্তের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এদিকে, এমন এক পরিস্থিতিতে কৃষি আইন প্রত্যাহার না করার দাবি নিয়ে সরব আরও এক কৃষক সংগঠন।
পাল্টা দাবিতে চড়ল পারদ
একদিকে দিল্লি কার্যত স্তব্ধ করে দেওয়ার ডাক কৃষকদের । কৃষি আইনের প্রতিবাদে দেশের ৩২ টি কৃষক সংগঠ একজোট হয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। যেখানে অন্য ১৯ টি সংগঠনের দাবি , কৃষি আইন যদি প্রত্যাহার করা হয় , তাহলে তাঁরা নামবেন পাল্টা বিক্ষোভের রাস্তায়।
কৃষিবিলের সমর্থন
ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন একদিকে বিল প্রত্যাহারের দাবিতে সরব, অন্যদিকে ভারতীয় কৃষক ইউনিয়ন (মান) কৃষিবিল ধরে রাখার দাবিতে সরব হয়েছে। তাদের নেতৃত্বে ১৯ টি সংগঠন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র তোমারের কাছে বিল প্রত্যাহার না করার আর্জি জানিয়ে এসেছে।
কৃষক আন্দোলন ঘিরে তোপ , পাল্টা তোপ জারি
শনিবার যে সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন, তাঁরা জানিয়েছেন কৃষক আন্দোলনের নেপথ্যে বাম সংগঠন রয়েছে। যাঁরা হিংসাত্মক তাঁরাই এটি করছেন। আন্দোলনে রাজনীতির রঙ লেগে রয়েছে বলেও তাঁরা সরব হয়েছেন।
মোদীর বার্তা ও আকালি দলের ক্ষোভের প্রকাশ
এদিকে, শিরোমনি আকালি দলের তরফে সাফ বার্তায় বলা হয়েছে, যাঁরা কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে খালিস্তানি প্রভাব থাকার বার্তা দিচ্ছেন তাঁদের অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়া উচিত। এদিকে, এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, এই আন্দোলনের নেপথ্যে রয়েছে চিন ও পাকিস্তানের উস্কানি। এই সমস্ত পরিস্থিতির মধ্যে কেন্দ্রে র অনড় অবস্থান আরও একবার প্রকাশ পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বার্তায়। তিনি বলেছেন, যে বিল আনা হয়েছে তা ভারতের কৃষিজগতকে সংস্কারের জন্য, তাঁদের উন্নয়নের জন্য।