অমিত শাহের প্রস্তাবে কি কৃষকরা সায় দেবেন! সিঙ্ঘু সীমান্তে জমায়েত ঘিরে তুঙ্গে উত্তেজনা
কেন্দ্রের কৃষি বিল সহ কৃষকদের প্রতি মোদী সরকারের একাধিক পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়ে 'দিল্লি চলোর' ডাক দেয় দেশের বিভিন্ন কৃষক সংগঠন। বিশেষেত পাঞ্জাব ও হরিয়ানা থেকে বিশাল মিছিল করে কৃষকরা দিল্লিতে প্রবেশের চেষ্টা করেন। সেই মিছিল হঠাতে গিয়ে পুলিশ পাল্টা জল কামান থেকে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করতেই পারদ তুঙ্গে ওঠে। এরপরই আসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বার্তা।
অমিত শাহের প্রস্তাব
এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কৃষকদের প্রতি প্রস্তাব দিয়ে বলেন, যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার বৈঠকে বসতে রাজি। কৃষি মন্ত্রী ৩ ডিসেম্বর একটি আলোচনার জন্য কৃষকদের বৈঠকে আহ্বান করেছেন। কৃষকদের সমস্ত সমস্যা সমাধান সরকার রাজি।
চলছে রূপরেখা নির্ধারণ
এদিকে, কৃষকদের গতিবিধি কী হবে, বা অমিত শাহের প্রস্তাবে তাঁরা সায় দেবেন কী না, তা নিয়ে সিঙ্ঘু সীমান্তে চলছে আলোচনা। দিল্লি হরিয়ানায় এই সীমান্তে জমায়েত হয়েছে কৃষক সংগঠনগুলির।
আন্দোলন ২৬ নভেম্বর থেকে
রবিবার নিয়ে নতুন করে ৪ দিনে পা দিল পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকদের আন্দোলন। গত ২৬ নভেম্বর তাঁদের বিক্ষোভ ও 'দিল্লি চলোর' মিছিলে পুলিশি পাল্টা পদক্ষেপ দেশের রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার ঝড় তোলে। তারপর নড়চড়ে বসে সরকার।
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বার্তা
২৬ নভেম্বরের পরই দিল্লি থেকে রাজনাথ সিং জানিয়ে দেন কেন্দ্রের নরম মনোভাবের কথা। কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য তিনি সরকারের পক্ষ থেকে আহ্বান দেন এক বেসরকারি চ্যানেলের পক্ষ থেকে। তারপরই আসে অমিত শাহের বার্তা।
নীতি আয়োগ কী বলছে?
এদিকে, নীতি আয়োগের দাবি, যাঁরা কেন্দ্রের কৃষি বিলের প্রতিবাদ করছেন, তাঁরা ভালোভাবে কৃষি বিলের বিষয়টি বোঝেননি। ফলে এই বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।