অবস্থানের অনড় বিক্ষোভরত কৃষকরা, কেন্দ্রের দেওয়া 'শেষ' প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান
অবস্থানের অনড় বিক্ষোভরত কৃষকরা, কেন্দ্রের দেওয়া 'শেষ' প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান
কেন্দ্রের কৃষি আইন (farm laws) নিয়ে বিক্ষোভরত কৃষক ও কেন্দ্রের মধ্যে আলোচনায় এখনও সমাধান সূত্র মেলেনি। এদিক বিক্ষোভরত কৃষকরা (agitating farmers), কেন্দ্রের দেওয়ার ১৮ মাসের জন্য কৃষি আইন স্থগিত (to put on hold) রাখার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কথা জানিয়েছে।
বুধবার কেন্দ্রের প্রস্তাব
বুধবার কেন্দ্র ও বিক্ষোভরত কৃষকদের মধ্যে দশম রাউন্ডের বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে কৃষকদের কাছে প্রস্তাব দেওয়া তিনটি কৃষি আইন দেড়বছরের জন্য স্থগিত রাখা হবে। এছাড়াও অচলাবস্থা দূর করতে যুগ্ম কমিটি গঠন করার প্রস্তাবও দিয়েছিল কেন্দ্র। সেই সময় কৃষক নেতারা জানিয়েছিলেন নিজেদের মধ্যে বৈঠকের পরেই তারা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করবেন। বুধবারের বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার জানিয়েছিলেন, কৃষক নেতারা সরকারে দেওয়া দেড় বছর কৃষি আইনের স্থগিত রাখার প্রস্তাব গুরুত্বের সহকারে ভেবে দেখছে। তিনি আরও বলেছিলেন, বিক্ষোভ শেষ হলে তা ভারতের গণতন্ত্রের জয় বলেই ধরা হবে।
প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান কৃষক নেতাদের
এদিন কেন্দ্রের দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন কৃষক নেতারা। সম্মুক্ত কিষাণ মোর্চার জেনারেল বডির বৈঠক হয় । তারপর তারা জানিয়ে দেন, কেন্দ্রের প্রস্তাব তাঁরা প্রত্যাখ্যান করছেন। তাঁরা বলেছেন, তাঁরা তিনটি আইনের পুরোপুরি প্রত্যাহার চাইছেন। তিনটি কৃষি আইন পুরোপুরি তুলে নেওয়ার দাবির পাশাপাশি সমস্ত কৃষকের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের জন্য আইন প্রণয়নের দাবিটিও তুলে ধরা হয়।
শুক্রবার ১১ রাউন্ডের বৈঠক
প্রায় দুমাস ধরে চলা কৃষক বিক্ষোভের মধ্যেই প্রথমবারের জন্য আইন স্থগিত রাখার কেন্দ্রের প্রস্তাবে কিছুটা আশার আলো দেখা গিয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে কেন্দ্র ও কৃষকদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করার ব্যাপারেও আশা প্রকাশ করেছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার এব্যাপারে আশাপ্রকাশ করে বলেছিলেন শুক্রবার ১১ রাউন্ডের বৈঠকে সমাধান সম্ভবের ব্যাপারে আশাপ্রকাশ করেছিলেন। বুধবারের বৈঠকে তোমার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রী মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল।
কেন্দ্রের প্রস্তাবের বিরোধিতায় ইউনিয়ন নেতারা
বৈঠকে বিভিন্ন ইউয়নের নেতারা কেন্দ্রের দেওয়া কৃষি আইনস্থগিত রাখার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। তাঁরা বলেন, আইন প্রয়োগ পিছিয়ে দিলে সমস্যার কোনও সমাধান হবে না। সেই কারণেই তিনটি কৃষি আইন পুরোপুরি প্রত্যাহারের দাবি করেন তাঁরা। বুধবারের বৈঠকের পর কৃষক নেতারা জানান, কেন্দ্রের প্রস্তাব তাঁরা গ্রহণ করতে পারছেন না। কৃষক নেতাদের এই ঘোষণার পরে পরিস্থিতি যে অবস্থায় ছিল সেই খানেই পৌঁছে গেল। কৃষকরা ফের কেন্দ্রের কোর্টেই বল ঠেলে দিলেন। এবার কেন্দ্রই পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ভাবতে হবে।