সম্মান প্রদর্শন করেও সুপ্রিম রায়ে অরুচি কৃষক নেতাদের! ২৬-এ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ!
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি করা কৃষি আইনের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই রায়ে খুশি হলেও শীর্ষ আদালতের সম্পূর্ণ নির্দেশ মানতে অস্বীকার করেছেন কৃষক আন্দোলনের নেতারা। বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি থেকে সরবে না বলে জানিয়ে প্রজাতন্ত্র দিবসে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের আশ্বাসও দিয়েছে বিক্ষোভরত কৃষক সংগঠনের সম্মিলিত মঞ্চ।


কী বক্তব্য কৃষকদের
আন্দোলনেরত সবকটি সংগঠনকে বেঁধে তৈরি করা সম্মিলিত ক্রান্তিকারী কিষাণ ইউনিয়নের প্রধান দর্শন পাল, কেন্দ্রের কৃষি বিল লাগু করার ওপর সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেছেন। তা বলে দুই পক্ষের মধ্যস্থতায় তৈরি করে দেওয়া নিরপেক্ষ কমিটির ওপর তাঁদের ভরসা নেই বলেও জানিয়েছেন ওই কৃষক নেতা।

কী চান কৃষকরা
ক্রান্তিকারী কিষাণ ইউনিয়নের প্রধান দর্শন পালের কথায়, কেন্দ্রের সঙ্গে কোনও মধ্যস্থতায় যেতে রাজি নন। তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করার দাবি থেকে তাঁরা নড়বেন না বলে সাফ জানিয়েছেন কৃষক নেতা। ফলে কমিটি গঠনের ফলে সুবিধা কেন্দ্রেরই হবে মনে করেন আন্দোলনরত কৃষকরা। তাঁরা সাফ জানিয়েছেন যে মধ্যস্থতাকারী কমিটির সামনে বসার কোনও মানেই হয় না। সরকারের বিরুদ্ধে তাঁরা যেভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন, সেভাবেই কর্মসূচি চলবে বলেও জানিয়েছেন ক্রান্তিকারী কিষাণ ইউনিয়নের প্রধান দর্শন পাল।

২৬-এ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ
২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড চলার সময় ট্র্যাক্টর নিয়ে অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছিলেন কৃষক নেতারা। তবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর সেই কর্মসূচিতে কিছুটা রাশ টানা হবে বলে জানিয়েছেন ক্রান্তিকারী কিষাণ ইউনিয়নের প্রধান দর্শন পাল। প্রজাতন্ত্র দিবসে শান্তিপূর্ণ সরকার-বিরোধী আন্দোলনের কথা জানিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি।

চার সদস্যের কমিটি
কেন্দ্র ও আন্দোলনকারী কৃষকদের মধ্যে মধ্যস্থতার জন্য কৃষি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। কমিটিতে থাকবেন কৃষি বিশেষজ্ঞ অশোক গুলাটি, প্রমোদ জোশী, অনিল ঘানওয়াত ও ভূপিন্দর সিং মান।
বাংলায় পৌঁছেছে করোনা টিকার ডোজ, কবে পৌঁছবে আপনার জেলায়?