
বছর ভর প্রবল জলকষ্ট, সমস্যা সমাধানে নিজেই ৩২ ফুট কুয়ো খুঁড়লেন কৃষক
গ্রামে বৃষ্টি ভালোই হয় তাই বর্ষায় মানুষের জলের সমস্যা হয় না, কিন্তু বর্ষা তো আর সারা বছর নয়। সেই সময় ব্যাপক জলকষ্টে ভোগেন মানুষ। প্রশাসনও সেখানে কিছু করেনি যে সেখানে জল পৌঁছে যাবে। সমস্যার সমাধান হয় না বছরের পর বছর। দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছেন কৃষক নিজে। খুঁড়ে ফেলেছেন বিশাল এক কুয়ো। তাতেই মুশকিল আসান।

কী করেছেন ওই ব্যক্তি ?
গুজরাটের ডাং জেলাযর এক কৃষক তার গ্রামের মানুষের জন্য একটি কূপ খনন করেছেন। আসলে ডাং জেলায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় তবে পাহাড়ি ও পাথুরে অঞ্চলের কারণে গ্রীষ্মের চার মাসে পানীয় জলের তীব্র সমস্যা হয়। তাই এক বিশাল কুয়ো খনন করেছেন তিনি।

ওই ব্যক্তির নাম কী ?
৬০ বছর বয়সী কৃষকের নাম গঙ্গাভাই পাওয়ার। তিনি এই সমস্যা নিয়ে গ্রামের সরপঞ্চের কাছে সাহায্য চাইতে চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তার এই দাবি মানা হয়নি। তাই গঙ্গাভাই সিদ্ধান্ত নেন নিজেই করবেন এই কাজ। নিজে থেকেই জলের জন্য কূপ খনন করতে শুরু করেন তিনি। এর পর প্রায় ২ বছর ধরে মাটি খুঁড়ে গিয়েছেব তিনি। তারপর আসতে আসতে তৈরি হয়েছে ৩২ ফুটের এই বিশাল কূপ।

মিলেছে প্রশংসা
গ্রামের সরপঞ্চ নিজে যে কাজের অনুমতি দেননি। সে কাজ একাই করে নিয়েভহেন গঙ্গাভাই। সরপঞ্চ গীতাবেন কৃষকের কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসা করেন এবং তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। গ্রামের বাসিন্দা অর্জুন বাগুল জানান, এই কূপ শুধু গ্রামের তৃষ্ণা মেটাবে না, সেচের কাজেও সাহায্য করবে। তার বন্ধু শঙ্কর বলেন, 'ও যখন এই কাজ শুরু করেছিল, তখন অনেকেই ওকে নিয়ে হেসেছিল। তারাও এখন ওঁর কুয়ো থেকে জল আনছে।" পাশের গ্রামের সরপঞ্চ রাজেন্দ্র সিং বলেছেন যে , এই প্রচেষ্টা জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, আশা করি এখন গ্রামবাসীদের খরার বিরুদ্ধে লড়াই করতে এটা অনেক সাহায্য করবে।

কী বলেছেন মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট ?
আগর মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট (এসডিএম) মিলিন্দ ধোক ওই ব্যক্তির প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন যে তিনি ব্যক্তিগতভাবে তার সাথে দেখা করবেন এবং তাকে আর্থিক সাহায্য করবেন। আগর জেলা প্রশাসনও কৃষকদের তাদের কৃষি জমিতে কূপ খননের অনুমতি দিয়েছে। এদিকে ইন্দোর এবং অন্যান্য বড় শহরগুলি বোরওয়েল খননের জন্য নতুন করে অনুমতি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। সেখানে ৩০ জুন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে।