কৃষক আন্দোলন নিয়ে মমতা, উদ্ধবকে সঙ্গে রেখে কেন্দ্র বিরোধিতার নতুন ছকে বিজেপির প্রাক্তন শরিক! কোনদিকে যাচ্ছে পরিস্থিতি
ডেরেক ও ব্রায়ানকে গতকালই বিক্ষোভরত চাষিদের কাছে পাঠান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের কৃষি বিল প্রত্যাহাররের দাবিতে কৃষকদের এই আন্দোলনকে সমর্থনের পাশাপাশি বিক্ষোভরত কৃষকদের সঙ্গে কথাও বলেন মমতা। এমন এক পরিস্থিতিতে ক্রমাগত রাজনৈতিক পাকদণ্ডী এগিয়ে চলেছে এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে। বিজেপির প্রাক্তন শরিক আকালি দল এবার ময়দানে।
বিজেপির প্রাক্তন শরিকের ফোন মমতাকে!
এককালে বিজেপির সঙ্গে সমস্ত ইস্যুতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছে শিরোমনি আকালি দল। কিন্তু কৃষিবিল সামনে আসতেই তারা বিজেপির হাত ছাড়ে। এবার শুধু বিজেপির হাত ছাড়াই নয়, তার পাশপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও উদ্ধব ঠাকরের মতো নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এই আন্দোলন ইস্যুচে বড় পদক্ষেপ নিতে চায় আকালি দল। আর সেই মর্মেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে পাঞ্জাবের এই আঞ্চলিক শক্তি আকালি দল।
মমতার ফোনে কথা কৃষকদের সঙ্গে
এদিকে সিঙ্ঘু সীমান্তে গিয়ে বিক্ষোভরত কৃষকদের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়ান। তিনি সেখানে ফোনে মমতার সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন কৃষকদের। ফোনে মমতা জানান, এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যাবতীয় পদক্ষেপে কৃষকদের পাশে রয়েছে তাঁর দল।
৮ ডিসেম্বর ধর্মঘট ও তৃণমূলের কর্মসূচি
আগামী মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতায় দেশজুড়ে বিক্ষোভে সামিল হচ্ছেন দেশের বিক্ষোভরত কৃষকরা। সেদিন ভারত বনধ ডাকা হয় , তাঁদের তরফে। আর সেই দিন থেকেই তৃণমূল কৃষি আন্দোলন নিয়ে একাধিক কর্মসূচিতে পথে নামছে। এদিকে, কৃষি আিন যাতে কেন্দ্র প্রত্যাহার করে তার দাবিতে যেমন কৃষকরা অনড়, তেমনই এমএসপি নিয়ে তাঁরা আলোচনার রাস্তা খোলা রেখেছেন। এখনও তাঁরা সিঙ্ঘু সীমান্তে অনড় মনোভাব নিয়ে শীতের প্রবল ঠান্ডার মধ্যেও বিক্ষভ অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে, এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র বিরোধিতায় ক্রমাগত কোমর কষতে শুরু করেছে বিরোধী শিবির।
মমতার পদক্ষেপের সমালোনায় অধীর থেকে দিলীপ
এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃষকদের নিয়ে অবস্থানকে 'লোক দেখানো' ইস্যু বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। অন্যদিকে বিজেপির দাবি , রাজ্য রাজনীতিতে মমতা ব্যাকফুটে যেতেই নজর ঘোরাতে এমন পদক্ষেপ নিচ্ছেন। দিলীপ ঘোষ বলেন, 'এরাজ্যে আলু চাষিরা সছিক দাম পান না, চাষিরা আলুর দাম পান মাত্র ৫ টাকা। অথচ সেই আলু আমরা ৪৫ টাকায় কিনছি। পাঁচ টাকা বাদ দিয়ে বাকি টাকা তৃণমূলের নির্বাচনী তহবিলে যায়।'