কৃষকদের 'দিল্লি চলো' অভিযান: হরিয়ানার জমি তপ্ত ,সুর নরম করে বড় বার্তা রাজনাথের
হরিয়ানা দিল্লি সীমান্ত দেখেছে বৃহস্পতিবারের কৃষক আন্দোলন নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির ছবি । কৃষি বিলের প্রতিবাদে শুরু হয় বিক্ষোভ। হরিয়ানা পার করে দিল্লির দিকে মিছিল এগোতে গেলেই পুলিশ কাঁদানে গ্যাস চালু করে, ময়দানে নামে জল কামান। এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। এরপর শুক্রবার রয়েছে কৃষকদের দিল্লি চলোর বৃহত্তর কর্মসূচি।
গত ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টায় চড়েছে পারদ
শেষ ১২ ঘণ্টায় কৃষকদের মিছিল দিল্লির অনেকটাই কাছে গিয়েছে। মূলত কৃষকদের দাবি, কৃষি বিলের প্রতিবাদে তাঁদের অভাব , অভিযোগ দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানানো। আর সেই লক্ষ্যে তাঁদের দিল্লি যাত্রা। এদিকে দিল্লিতে যেকোনও রকমের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি রুখতে একাধিক বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
রাজনাথের বার্তা
এদিকে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের ক্ষোভ চড়তেই সুর খানিকটা নরম করতে শুরু করেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, ' দেশের চাষিদের আশ্বস্ত করে বলতে তাই, তাঁরা যেন এই বিক্ষোভ থেকে সরে আসেন। আমি তাংদের আলোচনায় বসার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।'
দিল্লিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না কেন?
দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কোভিড ১৯ এর গাইডলাইনের কারমে দিল্লিতে এভাবে কোনও জমায়েতকে অনুমোদন করা হবে না। গোটা দিল্লি জুড়ে এই বিক্ষভ ঠেকাতে বালি বোঝাই ট্রাক দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে পুলিশ। রয়েছে তারের বেড়া, প্রবল পুলিশি নিরাপত্তা বেষ্টনী।
দিল্লি মেট্রোতে চরম প্রভাব
হাজার হাজার কৃষক এদিনের মিছিলে সামিল হচ্ছেন। আর তাঁদের রুখতে দিল্লি থেকে একাধিক শহরের মেট্রো পরিষেবা এদিন বন্ধ করা হয়েছে। তবে দিল্লি থেকে এনসিআ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু থাকছে। বাহাদপরগড়, তিগড়ি সীমান্তে প্রবল সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
কৃষকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘাত ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
ঘাঘ্ঘর নদীতে পুলিশের ব্যারিকেড বৃহস্পতিবারই ছুঁড়ে ফেলে প্রতিবাদে সামিল হয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন হরিয়ানার কৃষকরা। এরপর পাল্টা পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাতে বাধ্য হয়। পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। এরপরই বিজেপির প্রাক্তন শরিক অকালি দল থেকে শুরু করে বিজেপির বিপক্ষের কংগ্রেস চরম আকারে সমালোচনা করে কেন্দ্র ও হরিয়ানার বিজেপি জোটের সরকারের।