রবিবারই বাজছে বিদায় ঘণ্টা? ইয়েদুরাপ্পার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে জোর জল্পনা কর্নাটকের রাজ্য-রাজনীতিতে
রবিরাই বাজছে বিদায় ঘণ্টা? ইয়েদুরাপ্পার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে জোর জল্পনা কর্নাটকের রাজ্য-রাজনীতিতে
এদিকে
যখন
ক্রমেই
গোটা
রাজ্যের
বন্যা
পরিস্থিতির
অবনতি
হচ্ছে
তথন
অন্যদিকে
রাজ্যের
মুখ্যমন্ত্রীর
ভবিষ্যত
নিয়ে
টানাপোড়েন
অব্যাহত
কর্নাটকে।
এদিন
বেলাগাভিতে
বন্যা
পরিস্থিতি
পরিদর্শনে
যাওয়ার
পথে
বিমানবন্দরে
বি
এস
ইয়েদুরাপ্পা
নিজেই
তাঁর
পদত্যাগের
জল্পনা
নতুন
করে
উস্কে
দেন
বলে
জানা
যাচ্ছে।
এমনকী
রবিবার
বিকেলের
মধ্যেই
তাঁর
রাজনৈতিক
ভবিষ্যত
নিয়ে
দলের
শীর্ষ
মহল
থেকে
বিশেষ
বার্তা
আসতে
পারে
বলেও
জানান
তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কর্ণাটকের রাজনীতিতে ইয়েদুরাপ্পা অনেক বড় নাম। এই বরিষ্ঠ বিজেপি নেতার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের শুরু শিকারিপুরার পুরসভা থেকেই। সেখানেই অধ্যক্ষ হিসেবে প্রথম রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেন তিনি। তারপর আর ঘুরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তাঁরই রাজনৈতিক জীবন ঘোরতর সঙ্কটে। অন্যদিকে ইয়েদুরাপ্পাকে সরালে তাঁর জায়গায় নতুন মুখ্যমন্ত্রী কে হতে পারেন তা নিয়ে বিভিন্ন কানাঘুঁষো শোনা যাচ্ছিল বিজেপির অন্দরেই।
লিঙ্গায়েত মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্ত হিসেবে লিঙ্গায়েত, না কর্নাটকের রাজনীতিতে লিঙ্গায়েত বিরোধী কোনও ভোক্কালিগা নেতাকে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসানো হবে, তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই সংশয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যের মধ্যেই এই বিষয়ে চূ়ড়ান্ত ঘোষণা করতে পারে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। আর এদিনই ইস্তফা দিতে পারেন ইয়েদুরাপ্পা। তবে অনেকেই আবার বলছেন ২৬ জুলাই দলের ক্ষমতায় ফেরার দু’বছরের মাথায় ইস্তফা দেবেন তিনি।
এদিকে গতকাল শিবমোগায় একটি প্রকল্পের ভার্চুয়াল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ইয়েদুরাপ্পা বলতে শোনা যায়, মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার প্রথম দিন থেকে আমাকে অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সফলতাও এসেছে, অনেক কাজে বিতর্কও হয়েছে। তবে আমি গত দু’বছরের কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট। এরপর দল যা ঠিক করবে তাই মেনে নেব।” অন্যদিকে রবিবার বন্যা দুর্গত বেলাগাভি পরিদর্শনে যাওয়ার পথে আবার তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আজ যদি বিকেলের মধ্যে পদ ছাড়ার বিষয়ে কোনও বার্তা আসে, তবে আমি সঙ্গে সঙ্গে জানাব।” আর তাঁর এই মন্তব্যের পরেই ফের নতুন করে আলোড়ন তৈরি হয়েছে কর্নাটকের রাজ্য-রাজনীতিতে।