কোভিডের দ্বিতীয় স্রোতের বহু আগেই অক্সিজেনের কমতির সম্ভাবনা লক্ষ্য করেছে ভারত! হাড়হিম করা তথ্য প্রকাশ্যে
করোনার বিধ্বংসী দ্বিতীয় স্রোত তখনও আছড়ে পড়েনি। সবেমাত্র জাতীয় লকডাউনের মধ্যে তখন ভারত। করোনার প্রথম স্রোত কেবল দংশন বসিয়েছে। মৃত্যু মিছিল তখনও অব্যাহত ছিল। এমন পরিস্থিতিতে গত বছর এপ্রিল মাসেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে দেশের তাবড় সরকারি অফিসররা আভাস দেন যে করোনা পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য মেডিক্যাল অক্সিজেনের কমতি শুরু হতে পারে ভারতে। এরপর থেকে করোনা পরিস্থিতি কীভাবে পাল্টায় তার সাক্ষী ভারত!
সতর্ক করা হয়েছিল ২ বার
একবার ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের বৈঠকে, তারপর একবার ২০২০ সালে নভেম্বরে। একাধিকবার প্রশাসনের হাইভোল্টেজ বৈঠকে অক্সিজেনের অপ্রতুলতা নিয়ে 'রেড ফ্ল্যাগ' জারি হয়। সতর্ক করা হয়, আসন্ন পরিস্থিতি নিয়ে। এমনই তথ্য রয়েছে নয়া রিপোর্টে।
পরবর্তী পর্যায়ে কোন ধাপ?
এদিকে, এমন অবস্থায় সিআইআইয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসে ইন্ডিয়ান গ্যাস অ্যাসোসিয়েশন। পরিস্থিতি কোনদিকে যাচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে তাবড় বৈঠক সংগঠিত হয়। এরপর দায়িত্ব বর্তায় ডিপিআইআইটির উপর। এক বেসরকারি নিউজ চ্যানেলের খবর বলছে, এক ৪ সদস্যের কমিটিও গঠিত হয় ডিপিআইআইটির আওতায়। তবে এরপর থেকে ভারতে কোভিড পরিস্থিতি সেপ্টেম্বর নাগাদ ভয়াবহ আকার নেয়। চাহিদা বাড়ে অক্সিজেনের। সেপ্টেম্বরের ২৪ থেকে ২৫ তারিখ নাগাদ প্রতিদিন ৩০০০ মেট্রিক টন অক্সিজেনের চাহিদা দেখা যায়। যা আগে ছিল ১০০০ মেট্রিক টন দিনের হিসাবে।
সংকটের মেঘ জমাট বাঁধে
সেপ্টেম্বরে অক্সিজেনের চাহিদা বাড়তেই দেখা যায় যে , প্রতিদিনের হিসাবে দেশে সামগ্রিক ৬৯০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন উৎপাদ হচ্ছে দেশে। এরপরই 'ইজিফোর' এর বিশেষ সরকার নির্মিত গ্রুপ সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সংসদীয় কমিটি মেডিক্যাল অক্সিজেন নিয়ে সতর্ক হওয়ার বার্তা দেয়। 'ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস' এর রিপোর্ট বলছে, সরকারকে সেই সময় জানানও দেওয়া হয় যে মেডিক্যাল অক্সিজেন যাতে বাড়ানো হয়। সতর্ক বার্তা যায় নভেম্বরেও।
গত এপ্রিল থেকে চলতি এপ্রিলের চিত্র
এদিকে, গতবছর এপ্রিল মাস থেকে এই বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যের সময়ে অক্সিজেনের অপ্রতুলতা ইস্যুতে বহু সময় কেটে গিয়েছে। এদিকে ২২ এপ্রিল , ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহারের জন্য অক্সিজেনে বিধি আরোপ করেছে। দেশে মোট মেডিক্যাল অক্সিজেন উৎপাদনের ৬০ শতাংশ আপাতত চাহিদায়। এমন পরিস্থিতিতে আগামীর সংকট মোকবিলায় প্রশাসন কোন বন্দোবস্ত করে, সেদিকে নজর দেশের।