এদেশে মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকারবদ্ধ হলেন তসলিমা
মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকারবদ্ধ হলেন বিখ্যাত বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিন। মৃত্য়ুর পর তাঁর নশ্বর দেহ যাতে মেডিক্যাল পড়ুয়াদের গবেষণা ও পড়াশোনার কাজে লাগানো যায়
মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকারবদ্ধ হলেন বিখ্যাত বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিন। মৃত্য়ুর পর তাঁর নশ্বর দেহ যাতে মেডিক্যাল পড়ুয়াদের গবেষণা ও পড়াশোনার কাজে লাগানো যায়,সেই উদ্দেশ্য নিয়েই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন লেখিকা। মঙ্গলবার দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স বা এইমস কর্তৃপক্ষকে নিজের দেহদানের অঙ্গীকার করেন তিনি। ঘটনার কথা টুইটে জানিয়েওছেন লেখিকা।
এর আগেও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে মরোনোত্তর দেহদানে অঙ্গীকারবদ্ধ হন তসলিমা। পরে এরাজ্যে তাঁর প্রবেশ নিষিদ্দ হওয়াতে সেই উদ্দেশ্য সম্পূর্ণতা পায়নি। পরে তিনি তাঁর এইমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই অঙ্গীকারে আবদ্ধ হন। বাংলাদেশের লেখিকা হলেও সামাজিক ও রাজনৈতিক নান পট পরিবর্তন পার করে শেষমেশ ভারতেরই প্রথম সারির চিকিৎসাকেন্দ্রে দেহদানে সম্মত হন এই লেখিকা। বিষয়টি নিয়ে টুইটও করেছেন লেখিকা।
I have donated my body after death to AIIMS for scientific research and teaching purpose. pic.twitter.com/jq1KNLZCZQ
— taslima nasreen (@taslimanasreen) May 22, 2018
তসলিমা তাঁর লেখা বিভিন্ন গল্প , উপন্যাসের জন্য নানা সময়ে বিতর্কের কেন্দ্রে এসেছেন। সাম্প্রতিককালে মেট্রোয় আলিঙ্গনরত যুবক যুবতী থেকে সোনম কাপুরের বিয়ের পর পদবী পরিবর্তন নিয়ে মুখ খুলে খবরের শিরোনামে উঠে আসেন তিনি। এর আগে, ১৯৯৪ সালে শরিয়ত আইনের অবলুপ্তি ঘটানোর ইচ্ছা প্রকাশ করে মৌলবাদীদের ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তসলিমা নাসরিন। ক্ষোভ ফেটে পড়ে বাংলাদেশ। সেই সময় তসলিমাকে নির্বাসিত করে সেদেশের সরকার। এরপর বিশ্বের একাধিক দেশে থেকেছেন তসলিমা।