
কানহাইয়া লাল অভিযোগ করলেও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ! উদয়পুর কাণ্ডে গুরুতর অভিযোগ পরিবারের
মঙ্গলবারের ঘটনার পরে এদিন রাজস্থানের (Rajasthan) উদয়পুর (Udaipur) শুনশান। কড়া নিরাপত্তায় কানহাইয়া লালের (Kanhaiya Lal) শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় এদিন। অন্যদিকে পরিবারের (Family) সদস্যদের অভিযোগ কানহাইয়ালাল ১৫ জুন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও করেছিলেন। তবে পুলিশ (Police) সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও ব্যবস্থা না করে আপস করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের। এদিন সেখানকার এএসআইকে সাসপেন্ড করেছে রাজস্থান (Rajasthan) সরকার।

পরিবারের নিশানায় পুলিশ
কানহাইয়ালালের পরিবারের অভিযোগ , প্রাণের ভয়ে ছয়দিন দোকান খোলেনি সে। যদিও মঙ্গলবার দোকান খুলতেই ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পুলিশ সময় মতো ব্যবস্থা নিলে কানহাইলাল বেঁচে যেত বলে দাবি করা হয়েছে
পরিবারের তরফে। প্রসঙ্গত নূপুর শর্মাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর থেকেই হুমকি পাচ্ছিলেন কানহাইয়া লাল। তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ।

১৫ জুন পুলিশের কাছে অভিযোগ
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ১৫ জুন পুলিশের কাছে করা অভিযোগে কানহাইয়া লাল বলেন, প্রায় ৬ দিন আগে তাঁর ছেলে মোবাইল ফোনে গেম খেলতে গিয়ে কিছু একটা পোস্ট করেছিল। তা তিনি একেবারেই জানতেন না।দুদিন পরে দুই ব্যক্তি তাঁর দোকানে আসে। তারা বলে মোবাইল থেকে আপত্তিকর বিষয় পোস্ট করা হয়েছে। তখন কানহাইয়ালাল বলেন, তিনি সেরকম মোবাইল ব্যবহার করেন না। তবে তাঁর ছেলে গেম খেলে। কোথাও ভুল হয়ে থাকতে পারে।এরপর পোস্টটি মুছেও দেওয়া হয়। আগন্তুকরা বলে যায় এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে।

গ্রেফতারের পরে সমঝোতাও হয়
তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত হওয়ার পরে কানহাইয়া লালকে থানায় যেতে বলা হয়েছিল। এ প্রতিবেশীই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। থানায় যাওয়ার পরে কানহাইয়া লালকে গ্রেফতার করে জামিনও দেওয়া হয়। এর পরে এএসআই ভানোয়ার লালের মধ্যস্থতায় দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতাও
হয়। যদিও তার পরেই কানহাইয়া লালকে হুমকি চলতে থাকে বলে অভিযোগ পরিবারের। আর অভিযোগ করলেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি।

মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগ
কানহাইয়া লালের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সমঝোতার পরেও তাঁর দোকানে নজরদারি চালানো হচ্ছিল। পাশাপাশি হুমকি দেওয়া হচ্ছিল, অন্য কোথা দেখা গেলেই মেরে ফেলা হবে। কানহাইয়া লাল অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ কলে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। যা নিয়ে
থানায় অভিযোগ করার পরেও এএসআই কর্নপাত করেননি। পুলিশ তাঁকে বলেছিল, সমঝোতা হয়েছে, এবার নিজেকে খেয়াল রাখতে হবে। সন্দেহ হলে পুলিশকে জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এএসআই ভানোয়ার লালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও আরও এক পুলিশ কর্মীর ভূমিকাো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উদয়পুর কাণ্ডে কেন্দ্রের নয়া সিদ্ধান্ত, তদন্ত করবে এনআইএ