মৃত্যুর আগে ফোন করে কী বলেছিলেন তারিশি, জানাল শোকার্ত পরিবার
ঢাকা, ৩ জুলাই : ঢাকার অদূরে গুলশন এলাকায় রেস্তরাঁয় বন্ধুদের সঙ্গে গিয়েছিলেন তারিশ জৈন। তিনিই একমাত্র বারতীয় যিনি এই জঙ্গি হামলায় খুন হয়েছেন। তিনি ছাড়াও আরও ২১ জন এই জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছেন যার মধ্যে ২ জন বাংলাদেশি পুলিশ আধিকারিক রয়েছেন। [বাংলাদেশে রেস্তরাঁয় হামলাকারী জঙ্গি 'আওয়ামী লিগ' নেতার ছেলে!]
উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদের বাসিন্দা তারিশির পরিবার। তাঁর বাবা সঞ্জীব জৈন বাংলাদেশে গত দুই দশক ধরে ব্যবসা করছেন। মা তুলিকাও সেখানেই থাকেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা তারিশি ছুটিতে ঢাকায় এসেছিলেন। সেখানে কয়েকটা দিন থেকে উত্তরপ্রদেশে ফিরে আসার কথা ছিল তাঁর। তবে তার আগেই সব শেষ। [গুলশনে হামলাকারীরা আইএস নয়, জেএমবি-র সদস্য : বাংলাদেশ সরকার]
শুক্রবার রাতে হোলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় হামলা চালানোর পরে একে একে অমুসলমানদের ধরে মারতে শুরু করে জঙ্গিরা। নজর এড়িয়ে হোটেলের বাথরুমে পালিয়ে যান তারিশি। সেখান থেকে রাত ১টা ৩০ মিনিট নাগাদ পরিবারকে শেষ ফোন করেন তিনি। জানান, জঙ্গিরা একে একে সকলকে মেরে ফেলছে। তাঁকেও হয়ত খুন করা হবে। সেই ভয়ে অনেকে মিলে তারিশিরা বাথরুমে আশ্রয় নিয়েছেন বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। ['মুসলিম বাদে বাকীদের মারতে এসেছি', বন্দিদের জানায় জঙ্গিরা]
ব্যস এরপরে আর তারিশির কোনও ফোন আসেনি। এমনটাই জানিয়েছেন ফিরোজাবাদের বাসিন্দা তারিশির কাকা রাকেশ মোহন জৈন। পরে সকাল ৬টার পরে তারিশির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোন ধরেনি। তার মাঝেই হয়ত তাঁকে খুন করা হয়। [গুলশনের রেস্তরাঁয় জঙ্গি হামলার সময়ে তোলা কম্যান্ডো অভিযানের ভিডিও]
তারিশি আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলেতে অর্থনীতি নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়ছিলেন। ছুটিতে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করে উত্তরপ্রদেশে ফেরার কথা ছিল তাঁর। তা হল না। উত্তরপ্রদেশেই তারিশির শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার।