বিলাসপুরের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার রাজস্থানের 'ফলাহারি বাবা'
ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল রাজস্থানের আলোয়ারের 'ফলাহারি বাবা'কে। নিজের আশ্রমেই বছর ২১-এর আইনের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। তিনদিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয় শনিবার।
ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল রাজস্থানের আলোয়ারের 'ফলাহারি বাবা'কে। নিজের আশ্রমেই বছর ২১-এর আইনের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। তিনদিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয় শনিবার।
রাজস্থানের আলোয়ারের বছর ৭০-এর ফলাহারি বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল আগেই। যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠার পর এই সপ্তাহের শুরু.তে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন রাজস্থানের আলোয়ারের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে। উচ্চ রক্তচাপের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
পুলিশের তরফ থেকে শনিবার আলোয়ারের সরকারি হাসপাতালে 'ফলাহারি বাবা'র চেকআপ করা হয়। সেখানে দেখা যায় তার রক্তচাপ এবং শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের মধ্যেই।
আলোয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পরশ জৈন জানিয়েছেন, ফলাহারি বাবার ইসিজি, সুগার এবং ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিকের মধ্যেই রয়েছে।
কেবল মাত্র ফল খাওয়ার কারণে বছর সত্তরের কৌশ্লেন্দ্র প্রপন্নাচার্য ফলাহারি মহারাজকে ফলাহারি বলা হয়। ছবিতে 'বাবা'কে অনেক রাজনীতিক এবং সেলিব্রিটির সঙ্গে দেখা গিয়েছে।
যে মহিলা অভিযোগ করেছেন, তাঁর বাবা-মা দীর্ঘদিন ধরেই 'ফলাহারি বাবা'র শিষ্য। রাজস্থানের আলোয়ারের আশ্রমে ৭ অগাস্ট যৌন নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। গ্রহণের সময় 'বাবা' কারও সঙ্গে দেখা করেন না। তাই রাতে তাদের সেখানেই থেকে যেতে বলা হয়। এরপর রাতে ওই মহিলাকে 'বাবা'র ঘরে ডেকে পাঠানো হয় এবং নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। কাউকে কিছু না জানাতে ওই মহিলাকে হুমকিও দেওয়া হয়।
কিন্তু গুরমিত রাম রহিমের আদালতে হাজিরার পরই তাঁর নীরবতা ভাঙেন ওই মহিলা। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী মহিলার বাড়িতে একাধিকবার গিয়েছিলেন ফলাহারি বাবা।
আইনের ছাত্রী ওই মহিলা টাকা দান করতে ওই আশ্রমে গিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, 'বাবা' র সুপারিশেই ওই মহিলা দিল্লিতে সিনিয়র আইনজীবীর কাছে ইনটার্নশিপে সুযোগ পেয়েছিলেন। এরজন্য ৩ হাজার টাকা করে তিনি স্টাইপেন্ডও পেতেন।
পরিবারের তরফে স্টাইপেন্ডের টাকা বাবার হাতে তুলে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই মতো আইনের ওই ছাত্রী বাবার সঙ্গে দেখা করতে যায়। সেখানেই তাঁকে অপেক্ষা করতে বলে ধর্ষণ করা হয় এহং হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের কাছে সব ঘটনা জানানোর পর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয় বলে জানিয়েছেন ছত্তিসগড়ের বিলাসপুরের পুলিশ অফিসার অর্চনা ঝা।
ভারতে ছাড়াও ভারতের বাইরেও এই গডম্যানের অনেক শিষ্য-শিষ্যা রয়েছেন।