ছোটা রাজনকে জাল পাসপোর্ট পেতে সাহায্য করেছে ভারতীয় এজেন্সিই!
নয়াদিল্লি, ৮ সেপ্টেম্বর : গ্যাংস্টার ছোটা রাজনকে গতবছরের শেষের দিকে ইন্দোনেশিয়া থেকে গ্রেফতার করে ভারতে নিয়ে আসা হয়। নাম বদলে মোহন কুমার নাম নিয়ে বিদেশে আত্মগোপন করে ছিল সে। [৩৫ বছর আগে নেওয়া আঙুলের ছাপেই ভারতে ফিরল ছোটা রাজন]
এই ছোটা রাজনই বিশেষ আদালতে জানিয়েছে, জাল পাসপোর্ট বানিয়ে তাঁকে দেশ ছাড়তে সাহায্য করেছিল ভারতীয় এজেন্সির সঙ্গে জড়িত কিছু অফিসারই। পাসপোর্ট বিভাগের সঙ্গে জড়িত এই আধিকারিকদের মধ্যে তিনজন ও ছোটা রাজনের বিরুদ্ধে জাল পাসপোর্ট অভিযোগে মামলাও দায়ের হয়েছে। [দাউদ সম্পর্কে সিবিআইকে নয়া তথ্য দিলেন ছোটা রাজন]
ছোটা রাজন জানিয়েছে, ২০০০ সালে দাউদ ইব্রাহিমের লোকেরা তাকে খুন করতে চেয়েছিল। কারণ সে ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের পর থেকেই দাউদের সঙ্গে তার শতযোজন দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। এবং জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছিল রাজন। [ছোট রাজনের অপরাধ দুনিয়ায় পথ চলার ইতিবৃত্ত!]
বিশেষ আদালতের বিচারক বিনোদ কুমারের সামনে রাজন যে জবানবন্দি দিয়েছে তাতে স্পষ্ট করে সে দাবি করেছে যে, সে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ও ভারতবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছিল। জাল পাসপোর্ট বানাতে কে তাকে সাহায্য করেছে সেই নাম রাজন অবশ্যই আদালতে জানায়নি। [দাউদের সঙ্গে জড়িত মুম্বই পুলিশের বহু অফিসার, বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি ছো়টা রাজনের]
রাজনের দাবি, যখনই দাউদের লোকেরা জানতে পারে যে গোপনে সে ভারতীয় এজেন্সিকে মুম্বই বিস্ফোরণে জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ দিচ্ছে, তখনই দুবাইয়ে তার পাসপোর্ট কেড়ে নেওয়া হয়। এমনকী তাকে মেরে ফেলারও চেষ্টা হয়।
তারপর দুবাই থেকে পালিয়ে রাজন মালয়েশিয়া পৌঁছয়। এবং সেখানে কিছুদিন থেকে ব্যাঙ্ককে পৌঁছয়। সেখানেও ২০০০ সালে ফের দাউদের লোকেরা তার উপরে প্রাণঘাতী হামলা চালায়। সেজন্যই তাকে বাধ্য হয়ে মোহন কুমার নামে জাল পাসপোর্ট বানাতে হয়েছে বলে আদালতে দাবি করেছে ছোটা রাজন।
আদালতে রাজনের আরও বক্তব্য, মুম্বই বিস্ফোরণের পরই সে হামলার প্রতিশোধ নিতে চেয়ে ভারতীয় এজেন্সিকে সাহায্য করেছে। যারা দেশের ক্ষতি করেছে তাদের রাজন শাস্তি দেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছে ছোটা রাজন।
জাল পাসপোর্ট মামলায় রাজন ও ভারতীয় আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী জালিয়াতি, জাল তথ্য জমা দেওয়া, জালিয়াতির উদ্দেশ্যে তথ্য দাখিল, ফৌজদারী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এদিন তিহার জেলে বন্দি অবস্থাতেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে বক্তব্য পেশ করেছে রাজন।