ভারত-চিন সংঘাতে সিকিমে শহিদ ১৫৮ সেনা! ভাইরাল খবরের পিছনে আসল সত্যি কী?
কয়েকদিন আগেই লাদাখে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উড়তে দেখা গিয়েছিল চিনা হেলিকপ্টার। সঙ্গে সঙ্গেই সম্ভাব্য আগ্রাসন প্রতিহত করতে ছুটে যায় ভারতীয় বায়ুসেনার অত্যাধুনিক সুখোই যুদ্ধবিমান। এরপর ফের চিন ভারতের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের অভিযোগ আনে। গত ৫ ও ৬ মে রাতে পূর্ব লাদাখের প্যাংগং সরোবরের কাছে ভারত ও চিনা সেনাবাহিনীর মুখোমুখি সংঘর্ষও হয়।
সিকিমে ভারত-চিন সংঘর্ষ
এরপর ৯ মে উত্তর সিকিমে ফের ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষ হয়। সিকিমের নাকু-লা সেক্টরে টহলদারি চালানোর সময় ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে অনু্প্রবেশ করে চিনের সেনা। বিষয়টি দেখতে পেয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানান কর্তব্যরত ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। বচসা থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। এর জেরে চিনের সাতজন সেনা ও চারজন ভারতীয় জওয়ান জখম হন।
ভাইরাল খবরের দাবি
তবে সম্প্রতি একটি খবর টুইটার ও অন্যান্য সামাজিক গণমাধ্যে ভাইরাল হয়েছে। তা দাবি করছে যে, চিনা সেনার হামলায় ভারতের ১৫৮ জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন। পাশাপাশি ভারতীয় গণমাধ্যমকে এই খবরের সত্যতা লোকানোর জন্য দোষারোপ করা হয়েছে।
ভাইরাল খবরটি ভুয়ো
আদতে খবরটি ভুয়ো। টুইটের সঙ্গে যেই ছবিটি ব্যবহৃত হয়েছে তা ২০১৭ সালে ডোকলাম উত্তেজনার সময়কার। এদিকে লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিনের মধ্যকার পরিস্থিতির ২৬তম দিনেও শান্তির কোনও চিহ্ন নেই। উল্টে প্ররোচনামূলক ভাবে চিনের তরফে লাদাখ সীমান্তে বাড়তি সেনা ও যুদ্ধ সরঞ্জাম মজুত করার খবর প্রকাশ পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পিছু হটতে নারাজ ভারতও। কাশ্মীর থেকে ব্যাপক সংখ্যায় সেনা লাদাখ সীমান্তে পাঠানো হচ্ছে বলে খবর মিলেছে।
জওয়ানদের সংখ্যা বাড়াচ্ছে চিন
সূত্রের খবর, লাদাখের কাছে এলএসি-তে জওয়ানদের সংখ্যা বাড়াচ্ছে চিন। গালওয়ান নালা এলাকায় শেষ দু'সপ্তাহে তারা ১০০টি টেন্ট তৈরি করেছে। লাদাখের দূরবুক গ্রামের মানুষরা বলছেন, প্রতি রাতে প্রায় ৭০ থেকে ৮০টি ট্রাক-গাড়ি তারা চিনা সীমান্তে যেতে দেখেছে।
পাঁচটি এলাকায় প্রায় আরও চিনা সেনা মোতায়েন
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে দুই দেশের তরফেই স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বর্তমানে এলএসি এলাকায় সেনার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তবে মনে করা হয়েছিল যে শান্তির বার্তা দেওয়ায় সেনা কমাবে চিন। তবে পূর্ব লাদাখসহ গালওয়ান নালা এলাকায় এবং প্যাঙগং লেকের উত্তর দিকে অন্তত পাঁচটি এলাকায় প্রায় আরও চিনা সেনা মোতায়েনের খবর আসতেই পরিস্থিতি বদলে যায়। জানা গিয়েছে আকসাই চিন অঞ্চলেও চিন সেনা বাড়িয়েছে।
অত্যাধুনিক সরঞ্জাম মজুত চিনের
এরই মধ্যে জানা গিয়েছে টাইপ ১৫ ট্যাঙ্ক, জেড ২০ হেলিকপ্টর সহ জিজে ২ ড্রোন লাদাখ সীমান্তে নিয়ে আসা হয়েছে চিনা সেনার তরফে। এসব সরঞ্জাম ব্যবহার করে উচ্চতায় ভারতের উপর অ্যাডভান্টেজ থাকবে চিনের। যুদ্ধের পরিস্থিতি উপনীত হলে নিঃসন্দেহে চিনকে সাহায্য করবে এই সরঞ্জামগুলি। এর পাল্টা জবাব দিতেই এই ব্যপক হারে সৈন্য সমাগম করতে উদ্যত হয়েছে ভারত।
সীমান্তে ১৫০০০-এর বেশি সেনা মোতায়েন করেছে চিন
জানা গিয়েছে সীমান্তে ১৫০০০-এর বেশি সেনা মোতায়েন করেছে চিন। এরই পাল্টা হিসাবে ভারতও সেনা বাড়িয়েছে চিন সীমান্তে। প্রসঙ্গত মে মাসের প্রথম দিকে চিন এলাকার গলওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে অবৈধ নির্মাণ কাজের অভিযোগ এনে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছিল বেজিং। দিল্লিকে কার্যত হুঁশিয়ারিও দেয় জিনপিং প্রশাসন। অথচ, বাস্তবে চিনই সিকিম সীমান্তে উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করছে।
হু-এর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নিয়ে ইতিবাচক দাবি আইসিএমআর-এর!