আরবিআই কি করোনা প্রকোপের জেরে আর্থিক বছরের সময়ে বদল আনছে? জানুন সঠিক তথ্য
কেন্দ্রের অর্থনৈতিক বছর এপ্রিল থেকে পরের বছর মার্চ পর্যন্ত চলে। সেখানে আরবিআই-এর অর্থনৈতিক বছরের মেয়াদ জুলাই থেকে পরের বছরের জুন। তবে গত কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি বার্তা ঘোরাফেরা করছে যে করোনা ভাইরাসের প্রভাবেরে জেরে আরবিআই দেশের অর্থনৈতিক বছরে বদল আনছে। তবে এই খবরটা কি আদেও সত্যি?
অর্থনৈতিক বছরের সময়ে বদল আনার প্রস্তাব
সত্যিটা হল, আরবিআই-এর অর্থনৈতিক বছরের সময়ে বদল আনার প্রস্তাবটি অনেক পুরোনো। এটি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে আনা হয়নি।
এই বিষয়ে আরবিআই-এর বিবৃতি
এর আগে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি আরবিআই তাদের এক বিবৃতিতে বলে, 'ব্যাঙ্কের বোর্ড দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে। ঘরোয়া বাজারে ও বিশ্ব অর্থনীতিতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন ভারত। এই কারণে সরকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য আনতে আরবিআই সিদ্ধান্নত নিয়েছে যে সরাকারের অর্থনৈতিক বছরের সঙ্গে ব্যাঙ্কের বছর এক সঙ্গে চলাটাই দেশের জন্য শ্রেয়। অর্থাৎ কেন্দ্রের মত আরবিআই-এর অর্থনৈতিক বছরও এপ্রিল থেকে মার্চ পর্যন্ত চলবে। এই প্রস্তাবটি সরকারের কাছে ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে।'
দেশজুড়ে জারি হয়েছে লকডাউন
এদিকে করোনা ভাইরাসের প্রকোপের জেরে দেশজুড়ে জারি হয়েছে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান , যেকোনও ব্য়াঙ্কের এটিএম থেকে টাকা তোলার ওপর যে চার্জ লাগত , তা আর লাগছে না আগামী ৩ মাসের জন্য। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে কেন্দ্রে এই সিদ্ধান্ত। আগে একটি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য ব্যাঙ্কের এটিএম-এ টাকা তোলার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম ও চার্জ ধার্য ছিল। বর্তমানে ৩ মাসের জন্য তা লাগছে না।
সেভিংস অ্যাকাউন্ট নিয়ে কেন্দ্রের নির্দেশিকা
সেভিংস অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্সের সাপেক্ষে যে চার্জ ধার্য করা ছিল,তাও সম্পূর্ণ ভাবে তুলে নিল সরকার। গোটা দেশে যেভাবে লক ডাউনের পরিস্থিতি রয়েছে তার দিকে নজর রেখেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের এমন বড় সিদ্ধান্ত এসেছে। এতদিন ন্যূনতম ব্যালেন্স অ্যাকাউন্টে না থাকলে চার্জ ধার্য করা হত, তা আপাতত নেওয়া হবে না।