ই শ্রম কার্ড কী, কোন কোন নিয়মাবলী না মানলে কার্ডটি বাতিল হতে পারে!
ই শ্রম কার্ড কী, কোন কোন নিয়মাবলী না মানলে কার্ডটি বাতিল হতে পারে!
ই শ্রম হল এমন একটি প্রকল্প যেখানে দেশের প্রতিটি অসংগঠিত শ্রমিকরা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। প্রায় ২০ কোটি কর্মীর নাম ইতিমধ্যে এই পোর্টালের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছেন। যেখানে ১৬ থেকে ৫৬ বছরের বয়সীরা তাঁদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। এই ই শ্রম পোর্টালটি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছিল। যেখানে শ্রমিকদের ডেটা, পরিচয় পত্র, অন্যান্য ডেটা সঞ্চয় থাকবে। যাতে শ্রমিকরা সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পায়।
শ্রমিকদের দেওয়া হবে একটি ই শ্রম কার্ড
অসংগঠিত শ্রমিকদের দেওয়া হবে একটি ই শ্রম কার্ডও। কেন্দ্র সরকার অসংগঠিত শ্রমিকদের ডেটাবেস তৈরি করার জন্য এই প্রকল্পের সূচনা করেছেন। তবে এই পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করতে কিছু নিয়মাবলী রয়েছে। ই শ্রম কার্ডটি একটি ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর (UAN) দেওয়া থাকবে। কারা কারা পড়বেন এই আওতায়? কৃষক, শ্রমিক, গাড়ির চালক ইত্যাদিরা। যদি কিছু অসঙ্গতি দেখা যায়, তাহলে ফর্মটি বাতিল পর্যন্ত হতে পারে।
ডেটা ভুল দিলে জালিয়াতির অভিযোগ উঠবে
তাছাড়াও যদি অ-বিশ্বাসযোগ্য কোনও বিবরণ, বা কোন ভুল ডেটা দেওয়া হল তাহলে ই শ্রম কার্ডটি সেই ব্যক্তি পাবেন না। প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিজের পেশা, বার্ষিক আয় এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ দিতে হবে। যদি এগুলির মধ্যে কোনটা ভুল দেওয়া হয় তাহলে সেটা কিন্তু জালিয়াতির আওতায় ধরা হবে। তখন সেই ব্যক্তি কিন্তু ই শ্রম কার্ডের আওতায় পড়বে না। পাশপাশি ব্যক্তির ওপর জালিয়াতির মামলা করা হতে পারে।
যারা EPFO সদস্য নন, তাঁরাও এই আওতায় পড়বেন
জানা গিয়েছে, যদি কোনও শ্রমিক ভাড়া বাড়িতে থাকে তাঁকে অসংগঠিত শ্রমিক হিসাবে বিবেচনা করা হবে। আবারও কোনও কর্মরত যে কোনও ব্যক্তি , রাজ্য বীমা কর্পোরেশন (ESIC) অর্থাৎ যেসব কর্মচারীরা ভবিষ্যত তহবিল সংস্থার (EPFO) সদস্য নন, তাঁদের অসংগঠিত শ্রমিকের আওতায় ধরা হবে। আর এই শ্রমিকরা সকলেই ই শ্রম কার্ডের আওতায় পড়বে।