গদিচ্যুত হতেই বড় ধাক্কা খেলেন ফড়নবিশ, সমন জারি আদালতের
গদিচ্যুত হয়েছেন মাত্র ৮০ ঘণ্টায়। সেই শোক হজম করে ওঠার আগেই বড় ধাক্কা খেলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। বৃহস্পতিবার উদ্ধব ঠাকরে শপথ নেওয়ার দিনই নাগপুর পুলিশের তরফে ডেকে পাঠানো হল নাগপুরের বিজেপি বিধায়ককে।
বৃহস্পতিবার দেবেন্দ্র ফড়নবীশকে সমন নোটিশ পাঠানো হয়
নাগপুর পুলিশ বৃহস্পতিবার দেবেন্দ্র ফড়নবীশকে স্থানীয় এক আদালতের সমন নোটিশ পাঠায়। ফড়নবিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ১৯৯৬ ও ১৯৯৮ সালে তাঁর বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের মনোনয়ন পত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামায় সেই মামলাগুলির উল্লেখ না থাকায় তা নির্বাচনী বিধিভঙ্গের মধ্যে পড়ে। সেই ভিত্তিতেই সামন পাঠানো হয় ফড়নবীশকে।
মনোনয়নের হলফনামায় সত্যি গোপন ফড়নবীশের
চলতি বছরের ১ নভেম্বর নাগপুরের একটি ম্যাজিস্ট্রে কোর্টে একটি আবেদন দাখিল করে ফড়নবিশের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। মনোনয়নের হলফনামায় সম্পূর্ণ সত্যি গোপন করার ভিত্তিতে করা হয়েছিল সেই আবেদন। ভারতীয় আইনে এই বিষয়টি ফৌজদারি অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয়। আবেদনটি সতীশ উকে মানক নাগপুরেরই এক আইনজীবী করেছিলেন। প্রথমে তাঁর এই আবেদন বম্বে হাইকোর্ট খারিজ করে দিলেও সুপ্রিম কোর্ট তাঁর এই আবেদনের ভিত্তিতে স্থানীয় আদালতকে ব্যবস্থা নিতে বলে।
ফড়নবীশের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা
এরপর ৪ নভেম্বর স্থানীয় আদালতের বিচারক এস ডি মেহতা জানান এই মামলাটি ফৌজদারি আইনের অন্তর্গত। ফড়নবীশের বিরুদ্ধে রিপ্রেজেন্টশন অফ পিপল অ্যাক্ট ১৯৫১-এর ১২৫ এ ধারা ভঙ্গের ভিত্তিতে এই মামলা চলবে। প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ ও ১৯৯৮ সালে ফড়নবীশের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা দায়ের করা হয়েছিল। যদিও সেই মামলার ভিত্তিতে ফড়নবীশের বিরুদ্ধে কোনও চার্ডশিট গঠন হয়নি। তবে এই তথ্যটি হলফনামা থেকে গোপন করায় তাঁর বিরুদ্ধে নতুন করে শুরু হতে চলেছে মামলা।